ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : গৃহবধু তাসলিমা আক্তার (২৮) হত্যার রহস্য উধঘাটন করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনা স্বামী সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারতের পর সোহেল মিয়া স্ত্রী তাসলিমা আক্তারকে পারিবারিক কলহের জেরে গলাটিপে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ৪ নং আমলী বিচারীক আদালতের বিচারক মাহাবুবা আক্তারের কাছে সোর্পদ করা হলে গ্রেফতাকৃত সোহেল মিয়া তাসলিমা আক্তারকে গলাটিপে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
বিকালে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বিকালে ময়মনসিংহ নগরীর পাট গোদাম ব্রীজ মোড় থেকে সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, গ্রেফতারকৃত সোহেল মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে তাসলিমা আক্তারকে গলাটিপে হত্যা করে তার স্বামী সোহেল মিয়া।
ওই দিন রাতেই তাসলিমার পরিবারকে খবর দেয়া হয়। সে খুব অসুস্থ্য, পরে রাতেই তারা তাসলিমার বাড়িতে পৌছে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরদিন সকালে এলাকায় প্রচার চালানো হয়, যে সে স্ট্রোক করে মারা গেছে।
পরে গোসল করাতে নিয়ে গেলে গলায় আঘাতের চিন্হ দেখে বুজতে পারে, তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পরদিন ৪ ডিসেম্বর নিহতের ভাই মোস্তাকিম বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। নিহত তাসলিমা ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চর পুবাইল গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে।
Leave a Reply