হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:ঘরমুখো মানুষকে গ্রামে-গঞ্জে পৌঁছে দিতে অভিনব ‘সিটিং সার্ভিস’ চালু হয়েছে হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলায়। লকডাউনে দূরপাল্লার গণপরিবহণ চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও শত শত মানুষ আরামদায়ক এই ‘সিটিং সার্ভিস’ সুবিধা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে। এসি-নন এসি মাইক্রোবাস আর প্রাইভেট কারে এই সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রাফিক পুলিশকে বিভিন্ন ভাবে ভুল তথ্য দিয়ে একই পরিবারের সদস্য দেখিয়ে যাত্রী নিয়ে দূরদূরান্তে যাচ্ছে এসব গাড়ি। বিভিন্ন কাউন্টারের লোকজন ট্রাফিক পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে মাইক্রোবাস, নোহা, হাইয়েছ, বক্সি ও প্রাইভেট কারে যাত্রী তোলা হচ্ছে।
সরেজমিনে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এর বিভিন্ন কাউন্টারের সামনে একের পর এক গাড়ি দাঁড় করিয়ে পরিবহন চালিয়ে যাচ্ছে। এখান থেকে সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব গাড়ি পরিবহন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। দূরপাল্লার বাসষ্ট্যান্ডের কাউন্টার লাইনম্যানরা এখন এসব মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারের দায়িত্ব পালন করছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেখানে বাস সার্ভিসের টিকিট কাউন্টার এখন মাইক্রোবাস কাউন্টারের কাজ করছে।
হবিগঞ্জ থেকে ঢাকার ভাড়া ৩৫০ টাকার পরিবর্তে এখন নেয় হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। তবে দিনে ও রাতে ভাড়া কমবেশি হয়। একটি হাইএস মাইক্রোবাসে ১৫ জন যাত্রী নেওয়া হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন লাইনম্যান ও বাস সার্ভিসের কর্মচারী বলেন, বাস বন্ধ থাকায় এই ব্যবস্থা, ট্রাফিক পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এগুলো করছে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা করোনাকালীন সময়ে যানজট নিরসনে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এরমধ্যে আবার মাইক্রোবাস, নোহা, হাইয়েছ, বক্সি ও প্রাইভেট কার গাড়ির চাপ। হাজার হাজার যানবাহন সামাল দিতেই হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর বিল্লাল খান বলেন, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা করোনাকালীন সময়ে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সারাদিন রোদে পোড়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা যানজট সহ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করে থাকে। যারা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে যাত্রী পরিবহন করছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
Leave a Reply