বাংলাদেশসহ নিষিদ্ধ ৩৪ দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে কুয়েত সরকার। খুব শিগগিরই ফ্লাইটগুলো চালু হবে। তালিকাভুক্ত দেশগুলোকে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে উচ্চ ঝুঁকির দেশ ও স্বল্প ঝুঁকির দেশ দুই ভাগে ভাগ করা হবে।
রোববার (২৫ অক্টোবর) কুয়েতের মিসিলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে মীরসরাই সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশের নাগরিকদের তিনবার করোনা পরীক্ষা করা করতে হবে। প্রথমে নিজ দেশ থেকে আসার সময় পিসিআর সনদ নিয়ে আসতে হবে। দ্বিতীয়বার কুয়েত এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর পর এবং তৃতীয়বার সাত দিন বাসায় অথবা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টানে থাকার পর করোনা টেস্ট করাতে হবে। একই শর্ত প্রযোজ্য হবে স্বল্প ঝুঁকির দেশগুলোর ক্ষেত্রেও।’
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইনে থাকার খরচ যাত্রীকে বহন করতে হবে। আর যখন ফ্লাইট চালু হবে তখন যাদের আকামার মেয়াদ শেষের দিকে, তাদের আগে ফ্লাইটে নিয়ে আসার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।’
সম্প্রতি কুয়েত সরকার যে অভিবাসী আইন পাস করেছে, তা এখনই কার্যকর হয়ে যাবে না উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পাঁচ বছর সময় লাগবে এবং এখনো দেশভিত্তিক কোটা নির্ধারণ করেনি কুয়েত সরকার।’
সাক্ষাতে সংগঠনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মীরসরাই সমিতির সভাপতি রহিম উদ্দিন ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, পৃষ্ঠপোষক আবদুল মহসিন শাকিল।
এছাড়া অন্যদের মধ্যে শাহাব উদ্দিন, মোর্শেদ আলম, বেলায়েত হোসেন, নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ লিটন, রফিক ইসলাম, সাদেক রিপন, খায়রুল ইসলাম মারুফ, আশ্রাফুল ইসলাম রিয়াদসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply