জামালপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের স্ট্যাম্প ভেন্ডার বারিন্দ্র কুমার নাগ নগদ চার লাখ ৪০ হাজার ৩২৫ টাকার পে-অর্ডার করার জন্য আজ রবিবার দুপুরে তার কর্মচারী সোহাগকে টাকাসহ সোনালী ব্যাংক জামালপুর শাখায় পাঠান। সোহাগ জামালপুর শহরের পাথালিয়া এলাকার মো. আকাশের ছেলে। তখন ব্যাংকের নিচতলায় বেশ ভিড় ছিল। বেলা একটার দিকে সোহাগ টাকাগুলো নিয়ে ব্যাংকের নিচতলায় ৬নম্বর কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। টাকা হাতে রাখতে অসুবিধা মনে করে পুরো টাকা কাউন্টারের ভেতরে ডেস্কের ওপর রেখে অপেক্ষা করছিলেন সোহাগ। এ সময় তার পায়ের কাছে কিছু টাকা পড়ে থাকতে দেখে নিচু হয়ে টাকাগুলো তুলতে শুরু করেন সোহাগ। মাটিতে পড়ে থাকা টাকাগুলো তুলেই দেখতে পান কাউন্টারের ডেস্কে রাখা তার পে-অর্ডারের টাকাগুলো নেই। সাথে সাথে সোহাগ বিষয়টি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জানান।সোহাগ বলেন, কাউন্টারের সামনে লাইনে অনেক ভিড় ছিল। আমি ছিলাম সবার সামনে। টাকা জমা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এমন সময় আমার পায়ের কাছে কিছু খুচরা টাকা পড়ে থাকতে দেখে সেগুলো তুলতে শুরু করি। টাকা তুলে দেখি কাউন্টারের ডেস্কের ভেতরে রাখা আমার টাকাগুলো নেই। জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম খান বলেন, পে-অর্ডার করতে আসা যুবক সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুর্বৃত্তদের সাথে তার কোনো যোগসূত্র আছে কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে হবে। দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করার জন্য ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এ ব্যাপারে টাকার মালিকপক্ষ এখনো থানায় অভিযোগ করেননি।
Leave a Reply