আশুলিয়া প্রতিনিধি : আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া এলাকায় কাজের পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়ে বিশ্বজিৎ (৫৫) নামের এক ব্যাক্তি খুন হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে ঘাতক দোকানদার রিপন কান্তে পলাতক রয়েছেন। ঘটনায় নিহতের স্ত্রী কমলা রাণী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আশুলিয়ার বাড়ইপাড়ার পুর্বপাড়া বনভিটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বিশ্বজিৎ বরগুনার বেতাগী থানা এলাকার প্রসেঞ্জিতের ছেলে। তিনি তার ছেলেদের সাথে আশুলিয়ায় ওই এলাকায় বসবাস করে আসছিলো।
অভিযুক্ত রিপন কান্ত গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।
নিহতের মেয়ে দিপা জানান, তার বাবা রিপন কান্তের দোকানে চা বানানোর কাজ করতো। সেই কাজের টাকা চাইতে গেলে রিপন উত্তেজিত হয় এবং বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে রিপন তার বাবাকে কিলঘুষি মারতে থাকে। এসময় তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চক্রবর্তীস্থ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক জসিম উদ্দিন বলেন, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে রিপনের দোকানে কাজ নেয় বিশ্বজিৎ। কাজ ছেড়ে দিলেও, কিছু টাকা পাওনা ছিল বিশ্বজিৎ। সেই টাকা চাইতে গেলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। রিপন কান্ত উত্তেজিত হয়ে কিল ঘুষি মারলে বিশ্বজিৎ অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে রিপন কান্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে, নিহত বিশ্বজিৎ হার্ডের রোগী ছিলেন। এছাড়া তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply