ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১ম ব্যাচের বিদায়ী সংবর্ধনা ও সমাপনী-২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত অনুষ্ঠানে স্নাতক ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১ জুন) দুপুর ২ টায় বিভাগীয় গোলচত্বরে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মারজান ছাঈদা ও ফরহাদ হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এর আগে মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমি ভবন থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয় এবং বিভাগের গোলচত্বরে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
এসময় বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: সেলিম তোহা। এছাড়াও বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিলাসী সাহা ও মো মেহেদী হাসান-সহ বিদায়ী শিক্ষার্থী এবং বিভাগের পাঁচ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিদায়ী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরাই ছিলাম বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রথম ব্যাচ। এই বিভাগে প্রথম যখন এসেছি তখন বুঝিনি আমাদের ভবিষ্যৎ কী হবে। কিন্তু সেই সময় শিক্ষকরা আমাদের পথ দেখিয়েছেন। আমাদের পথচলার সাহস জুগিয়েছেন। সেই ছোট পরিসর থেকে ধীরে ধীরে বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। আশা করি ভবিষ্যতে বিভাগ কৃতিত্বের সাথে এগিয়ে যাবে।
সহকারী অধ্যাপক মো: মেহেদী হাসান বলেন, সুখে দুঃখে অনেক কিছু সাক্ষী এই প্রথম ব্যাচ। আমরা হয়তো সুন্দর এসি রুম দিতে পারিনি, হয়তো সুন্দর ক্লাস রুম দিতে পারিনি, হয়তো সুন্দর মুট কোট গ্যালারি দিতে পারিনি তবে আত্মার ভালোবাসা গুলো দিয়ে আগলে রেখেছি তোমাদের। প্রথম ব্যাচ হিসেবে অনেক চড়াই-উতরাই এখানে এসেছে। তারা জানে বিদ্যুৎ না থাকলে অন্ধকার পরিবেশে কিভাবে আলো ফিরিয়ে আনতে হয়। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে সবাই সম্মানিত টপ পজিশনে গিয়ে বিভাগকে সমৃদ্ধ করবে।
অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা বলেন, অনেক সৃষ্টি নৈপথ্যের কাহিনি অজানা থেকে যায়। যিনি এই সৃষ্টির পেছনে থাকে তিনি আড়ালে থেকে যায়। আমার দেশের এতগুলো ছেলেমেয়ের এতো ভালো একটা সাবজেক্ট পড়তে পারসে এতে আমার স্বার্থকতা। আমাদের দেশপ্রেম নিয়ে সকলেই কাজ করবা। তোমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগকে ভুলে যেও না। তোমরা একসম এলামনাই হয়ে যাবে।আমরা বাস করি সুন্দরের মাঝে আমরা সবসময় সুন্দরকে ভুলে যায়। ভাগ্যবান তিনি যারা অসুন্দরকে বেদ করে সুন্দরকে মনে রাখে। এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের অসুন্দরকে বেদ করে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
সমাপনী বক্তব্যে সহকারী অধ্যাপক শাহিদা আখতার বলেন, প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির হিসেবে প্রথম ব্যাচের অপ্রাপ্তিই বেশি। কিন্তু শ্রোতের বিপরীতে দাড়িয়ে আজ এই শিক্ষার্থীরা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্ষেত্রেই প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা পৌঁছে গেছে। এই ব্যাচের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে ধৈর্য ও সাহসিকতা। জীবনের সকল ক্ষেত্রে ধৈর্যের সাথে স্থিরতার সাথে চলবে।তোমাদের ভবিষ্যতের সাফল্য বিভাগের সাফল্যকে সর্বোচ্চ শিখরে এগিয়ে নিবে।
তিনি আরও বলেন, মাথানত করো সেই দিকে যেটা সম্মানের, শ্রদ্ধার, অমায়িক আচরণে। মাথানত করো না সেই সব দিকে সেখানে নিজেকে ছোট করে ফেলে, অমর্যাদা বয়ে আনে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
Leave a Reply