ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা জামেলা খাতুন (২৬) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ বাড়িতে ফেলে গেছেন স্বামী ও তার স্বজনরা। রবিবার (২ জুন) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের মারওয়াখালী গ্রামে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা বলেন, গৃহবধূর মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুতের সময় গলায় একটি কালো দাগ পাওয়া গেছে। এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর পর স্বামী আল আমিন উধাও হয়ে গেছেন।
আল-আমিন ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। নিহত গৃহবধূ পার্শ্ববর্তী আঠারবাড়ি ইউনিয়নের মৃগালী গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত গৃহবধূ জামেলা খাতুন ও স্বামী আল আমিন ঢাকায় থাকতেন। আল-আমিন মাছের ব্যবসা করতেন। আর জামেলা খাতুন ঢাকায় মানুষের বাসাবাড়িতে কাজ করতেন। গৃহবধূ জামেলা খাতুনের মৃত্যুর সঠিক সময় এবং ঢাকার কোন জায়গায় থাকতেন তা বলতে পারছেন না কেউ।
গৃহবধূর মামা ফারুক বলেন, আল-আমিনের এক বোন মোবাইলে ফোন করে বলেছেন, জামেলা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু জামেলা কি সত্যিই আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে এ নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।
গৃহবধূর ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় সাত বছর আগে আল-আমিনের সাথে আমার বোনের বিয়ে হয়। সংসারে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বর্তমানে আমার বোন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বোন জামাই আল-আমিনের জুয়া খেলার অভ্যাস ছিল। এ নিয়ে তাদের (স্বামী-স্ত্রীর) মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। আমাদের সন্দেহ এসব কারণে আমার বোনকে মেরে তাদের বাড়িতে ফেলে রেখে আল-আমিন ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply