ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অস্ত্রের যোগান দেয়ায় প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন কামালের অপসারণ চেয়ে অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন কামালের অপসারণের দাবিতে অভিযোগ করেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন কামাল ঈশ্বরগঞ্জ সরকারী কলেজের প্রভাষক, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন সাত্তার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গত ৪ আগস্ট শিক্ষার্থীদের বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে এবং অস্ত্রের যোগান দিয়েছে। ৫ ই আগষ্টের পূর্বে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আন্দোলনকে দমন পীড়নের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড।
বর্তমানে তার ফেইস বুক আইডি থেকে অর্ন্তরবর্তীকালীন সরকার বিরোধী বিভিন্ন রকম উসকানীমূলক পোষ্ট করে আসছেন এবং তার সহকর্মীদের সাথে আওয়ামীলীগের দলীয় বিভিন্ন পরিকল্পনা করে থাকেন। এছাড়াও উপজেলা ছাত্র দলের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দকে সরাসরি হুমকি দিয়েছেন যে কোনো সময় সে তার দল নিয়ে আবার গর্জে উঠবে এবং বৈশম্য বিরোধী ছাত্র নেতাসহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দকে চিরতরে শেষ করে দিবে।
ফ্যাসিষ্ট সরকারের সময় সে দলীয় প্রভাব কাটিয়ে কলেজে অধিকাংশ সময়ে অনুপস্থিত থেকে তার ভাই অন্যতম আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতা মাসুদ হাসান তুর্ণের ঠিকাধারী ব্যবসা ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন যা এখনও অব্যাহত।
এমতাবস্থায় তার এহেন অপকর্মের সার্বিক দিক বিবেচনা করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সর্ব সাধারণের শান্তি শৃংখলা রক্ষার স্বার্থে ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন কামালের অপসারণের জোড় দাবী জানাচ্ছি। যথা সময়ে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করিলে বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রজনতা ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজে তার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে নামবে।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা সজিব বলেন, ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন কামাল বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি দিয়ে আসছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) আওয়ামীলীগ সরকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাই, আমরা তার অপসারণ চেয়ে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেছি।
এবিষয়ে জানতে আব্দুল্লাহ আল মামুন কামালের নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও সেটি বন্ধ দেখায়।
ইউএনও শারমিন সাত্তার বলেন, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের একটি অভিযোগ গ্রহণ করেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply