কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুঁট সমুদ্র ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সাগর পাড়ে বসবাসরত অস্থায়ী বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ে যাবার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র, নবনির্মিত ২টি মুজিব কিল্লা ও ১৫টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্নিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় কুয়াকাটার অর্ধশত হোটেল মোটেলকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের উদ্দোগ নিয়েছে হোটেল মোটাল ওনার্স এসোসিয়েশন। দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সিপিপি, রেড ক্রিসিন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ ফায়ার সার্ভিসের কমিউনিটি ভলান্টিয়ার টিমের সদস্যরা প্রস্ততি নিয়েছে।
এদিকে সোমবার বেলা বারোটায় উপজেলা প্রশাসনের দরবার হলে ঘূর্নিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতি সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান, ইউএনও আবু হাসনাত মোহম্মদ শহিদুল হক, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.চিন্ময় হাওলাদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবুল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভিন সিমা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.হুমায়ুন কবির, উপজেলা ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জান খানসহ সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ। সভায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জান খান বলেন, সকাল ৬টায় ’ইয়াস’ পায়রা বন্দরের ৬০৫ কি.মি. দক্ষিনে অবস্থান করছিল। বর্তমানে এটি নি¤œচাপে পরিনত হয়েছে। ৪৮ কি.মি. এর মধ্যে প্রতি ঘন্টায় এর গতিবেগ ৬২-৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পায়রা বন্দরকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply