দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কাটার মহোৎসব চালালেও কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে তেমন কোনো প্রকার পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এদিকে পাহাড় কাটার কথা পরিবেশ অধিদফতর স্বীকার করে মামলা করার কথা জানালেও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।
টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার মধ্যে ৪টি উপজেলা পাহাড়ি অঞ্চল। এসব উপজেলায় সমতল ভূমির পাশাপাশি রয়েছে লাল মাটির ৩০ ফুট থেকে ৪০ ফুট উচ্চতার অসংখ্য টিলা। এসব পাহাড়ি এলাকার বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলে সময়ের ব্যবধানে গড়ে উঠেছে শত শত বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট এবং হাটবাজার।
সরকারের ভূমি ব্যবহার আইন-২০১৬ অনুযায়ী বনভূমি, টিলা, লাল মাটির পাহাড় কেটে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা নিষেধ। ভূমি আইনে অপরাধীর জেল জরিমানাসহ কঠোর দণ্ডবিধি আরোপ করা থাকলেও টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ও মধুপুরে লাল মাটির পাহাড় কাটা বন্ধ হচ্ছে না।
স্থানীয় প্রভাবশালী মহল বন কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসন ম্যানেজ করে দিনের পর দিন নির্বিচারে লাল মাটির পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে। ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ তার ভারসাম্য হারাচ্ছে, অন্যদিকে জীববৈচিত্রের উপর মারাত্মক প্রভাব পরছে।
আবার এসব এলাকায় বসবাসকারীরাও হুমকির মুখে রয়েছে। টিলা ধ্বসে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রভাবশালী মহল পেশী শক্তির বলে দীর্ঘদিন যাবৎ পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করলেও স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগ তেমন কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেনা। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি।
তবে পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক জমির উদ্দিন জানিয়েছেন, ঘাটাইল ও মধুপুরের বেশ কিছু এলাকায় লাল মাটির টিলা কাটার খবর জেনেছেন । এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার মধ্যে ৪টি উপজেলার বনাঞ্চলে প্রায় পাঁচ শতাধিক লাল মাটির টিলা রয়েছে।
Leave a Reply