গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন ও
বিএনপির চলমান শুদ্ধি অভিযানের ঢেউ লাগতে পারে গদিতে বসার অপেক্ষায় থাকা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর আসন্ন সম্মেলনগুলোসহ কমিটি গঠন নিয়ে। নেতৃত্ব থেকে ছিটতে পড়তে পারেন কেন্দ্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের অনেক বিতর্কিত নেতাই। ফলে তারা আতঙ্কে আছেন। অন্যদিকে দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের বাদ পড়ার সম্ভাবনায় আশাবাদী হয়ে উঠেছেন ত্যাগী ও ‘ক্লিন ইমেজের’ নেতারা। বিভিন্ন সময়ে ‘পদবঞ্চিত’ এই নেতারা মনে করছেন, শুদ্ধি অভিযানের ফলে তাদের জন্য দলীয় বিভিন্ন কমিটিতে স্থান পাওয়ার পথ তৈরি হয়েছে।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
আগামী কিছু দিনের মধ্যে বিএনপি সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দলের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি। ।
চলমান শুদ্ধি অভিযানের প্রসঙ্গ টেনে দলটির নেতারা বলেছেন, দলীয় প্রধান এবার বিতর্কিতদের বিষয়ে খুবই কঠোর। কোনোভাবেই তিনি অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেবেন না। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেবেন। তাদের ডানা ছেঁটে দেবেন।
বিএনপি নেতারা বলছেন, কিমিটি গঠন সহ দলের ইমেজ ফিরিয়ে আনতে চলমান শুদ্ধি অভিযান সব পর্যায়েই বিস্তৃত হবে। শুদ্ধি অভিযানের প্রভাব দেশবাসী নিশ্চয়ই তাদের সংগঠনেও দেখতে পাবে। যাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আছে তাদের বাদ দিয়ে তরুণ ও ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে। যারা দলের আদর্শকে সমুন্নত রেখে রাজনীতি করেন, তারাই নেতৃত্বে আসবেন।
এ বিষয়ে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা বলেন, রাজনীতি যারা করতে চান, তাদের রাজনীতিই করতে হবে। রাজনীতির বাইরে কিছু করতে চাইলে তাদের অন্য পথ দেখতে হবে। রাজনীতিকে ব্যবহার করে কোনও টাকা-পয়সা কামানো যাবে না। অর্থ-বৈভবের মালিক হওয়া যাবে না।
যাতে কেউ যাতে দলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, বিতর্কিত ব্যক্তিরা কমিটিতে স্থান না পায়, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে বলেছেন।’
ডাঃ হারুন
সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক, কৃষক দল,গৌরীপুর উপজেলা
শাহ ওবায়দুল কাদের সুমন,
সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ছাত্রদল,গৌরীপুর উপজেলা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য,ময়মনসিংহ -৩ গৌরীপুর আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ইন্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইন, গৌরীপুর উপজেলা কৃষকদলের সহ-সাংগঠিক সম্পাদক ডাঃ হারুন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওবায়দুল কাদের সুমন প্রমুখ নেতারা ক্লিন ইজেমের ব্যক্তি হিসেবে বলেন, মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তবে দলীয় নেতৃত্ব বিষয়ে তাদের নিজস্ব কোনও প্রত্যাশা নেই।
Leave a Reply