কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জেলেদের অভ্যন্তরীন কোন্দলের প্রশিক্ষন কর্মশালা পন্ড হয়ে গেছে। বুধবার দুপুরে আলীপুরে বিএফডিসি কনফারেন্স কক্ষে সমুদ্রগামী ৫০ জন ট্রলার মালিক ও মাঝিদের মৎস্য শিকার ও প্রক্রিয়াজাত বিষয়ে দুই দিনের প্রশিক্ষনের আয়োজন করে মৎস্য বিভাগ। এক পর্যায়ে প্রশিক্ষনে অংশগ্রহনকারী জেলেদের এ তালিকা নিয়ে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম স্থগিত করে মৎস্য কর্মকর্তা স্থান ত্যাগ করেন।
এদিকে প্রশিক্ষণার্থীদের তালিকায় অনিয়ম ও ৬৫ দিনের অবরোধ চলাকালীন সময়ে মাছ ধরার সুবিধা দেয়ার কথা বলে অর্থ দাবি করায় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
জেলে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে প্রশিক্ষনে অংশগ্রহনকারী জেলেদের এ তালিকা নেয়া হয়। তবে প্রশিক্ষণে বিভিন্ন এলাকার জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত হলে মৎস্য কর্মকর্তার সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রশিক্ষন স্থান ত্যাগ করার পর পরই ট্রলার মালিক, মাঝি ও জেলেরা বিক্ষোভ করেন।
লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান ও আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এটা দুঃখ জনক। জেলে ও ট্রলার মালিকদের অভ্যন্তরীন কোন্দলে প্রশিক্ষনটি পন্ড হয়ে যায়। এ প্রশিক্ষনটি তাদের একান্ত প্রয়োজন ছিলো।
এ ব্যাপারে কলাপাডা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা সাংবাদিকদের বলেন, জেলে ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্ধের কারণে প্রশিক্ষণে একাধিক প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিত হওয়ায় তিনি বাধ্য হয়ে প্রশিক্ষন স্থগিত করেছেন। জেলেদের কোন্দল নিরসনের জন্য তিনি চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেন। তবে তারা তা মানেননি ফলে জেলেরা অন্যত্র চলে গেছে। তবে তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
Leave a Reply