কামরুন নাহার পান্না নামে এক ছাত্রীকে ১৯ আগস্ট, ২০০২ তারিখে তিতুমীর কলেজের সামনে থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে জোরপূর্বক অপহরণ করা হয়। আনুমানিক দুপুর ১ টার দিকে ঘটে যাওয়া এই অপরাধমূলক কর্মকান্ডটি সমাজের সর্বসাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে জড়িত চার-পাঁচজন ছাত্র এই অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এর ফলে কামরুনের পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
কামরুনের বাবা-মা এবং আত্মীয়-স্বজন দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগে ভরা যন্ত্রণাদায়ক দিনগুলি অতিবাহিত করছেন। কারণ তাদের সাহায্যের আবেদন আপাত দৃষ্টিতে কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাদের আকুল আবেদন সত্তে¡ও, পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন উভয়ই তাদের পদক্ষেপের অভাব এবং মামলার প্রতি স্পষ্ট উদাসীনতার জন্য সমালোচিত হয়েছে।
অনেকে বিশ্বাস করেন যে, কথিত ছাত্রলীগের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জড়িত থাকার কারণে বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্তে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনীহা রয়েছে। প্রশাসন কর্তৃপক্ষের এই অবহেলা নাগরিকদের মধ্যে হতাশা ও অবিশ্বাসকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
কামরুন নাহার পান্নার অপহরণ ও নিখোঁজের ঘটনায় দেশের সচেতন নাগরিক ও সমাজের সংশ্লিষ্ট সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্তের আহবান জানিয়েছেন। তারা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে আইনের শাসন বজায় রাখা এবং প্রতিটি ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দিতে আহবান জানিয়েছেন।
এই নিন্দনীয় ঘটনায় দেশের জনগণ উদ্বিগ্ন হওয়া সত্তে¡ও, আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা প্রদর্শনে উদাসীন বলে মনে হচ্ছে।
কামরুন নাহার পান্নার ভাগ্য অনিশ্চিত, তবে ন্যায় বিচারের জন্য সম্মিলিত আক্রোশ উচ্চ স্বরে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে, যা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং সমস্ত নাগরিকের অধিকার রক্ষার জন্য জরুরী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে।
Leave a Reply