লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে উপজেলায় রাস্তার চলমান কাজে অনিয়মে ঠিকাদার ও তার ছেলেকে চৌকিদার দিয়ে ডেকে নিয়ে প্রতিবাদ করায় মন খারাপ করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদানাজির মামলা করেছেন ঠিকাদার। দায়েরকৃত চাঁদাবাজির মামলায় পুলিশ চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। চেয়ারম্যান তার চৌকিদারকে দিয়ে ঠিকাদারকে পরিষদে নিয়ে যাওয়ায় মন খারাপ করে মামলা করার বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকারও করেছেন ওই ঠিকাদার।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকালে কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের শ্রুতিধর এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করার বিষয়টি কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম গেলাম রসুল নিশ্চিত করেছেন।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের বড়দীঘিরপাড় এলাকায় একটি সড়ক নির্মাণের ঠিকাদারী করছেন এলাহী বকস নামে এক ঠিকাদার। সড়ক নির্মাণে অনিয়ম হচ্ছে মর্মে স্থানীয় লোকজন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেনকে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান চৌকিদারকে দিয়ে ঠিকাদার এলাহী বকসকে ডাকেন এবং সরেজমিন পরিদর্শন করে সড়ক নির্মাণে অনিয়মের প্রতিবাদ করেন। এ ঘটনায় গত ২৬ জুন ভোটমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ৪/৫ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন ঠিকাদার এলাহী বকস। মঙ্গলবার সকালে ওই ইউনিয়নের শ্রুতিধর এলাকায় চেয়ারম্যানের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেন কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।
ভোটমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেনের পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সড়ক নির্মাণে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন ওই ঠিকাদার।
ঠিকাদার এলাহী বকস মুঠোফোনে বলেন, চাঁদা চাওয়াটা বড় কথা নয়। চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে ও আমার ছেলেকে চৌকিদার দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে ধরে নিয়ে গেছে। এতে আমার মন খারাপ এবং অপমান বোধ করেছি, তাই মামলা করেছি। তাহলে চাঁদাবাজির মামলা কেন ? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মামলা তো চাঁদাবাজিরই হবে। সাক্ষাতে কথা হবে কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম গেলাম রসুল জানান, একটি চাঁদাবাজির মামলায় ভোটমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply