জামালপুরে মাঝে মধ্যেই চলে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি।
ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠান কিংবা দোকানপাট থেকে শুরু করে রাস্তায় যানবাহন আটকিয়ে তোলা হয় এই চাঁদা। বিশাল দেহের হাতির মুখোমুখি হয়ে সম্মান বাঁচাতে ও হয়ে অনেককেই দিতে হয় চাঁদার টাকা। তবে হাতি কত টাকা চাঁদা নিবে তা নির্ধারণ করে হাতির পিঠে বসে থাতা মাহত বা হরীচালক। জামালপুর শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে প্রদান সড়কগুলোতে মাঝে মধ্যেই দেখা মিলে এসব চাঁদাবাজ হাতির। কথাটা শুনতে বিরক্তি লাগলেও একটি অবুঝ প্রাণীকে এভাবেই চাঁদাবাজের খাতায় নাম তুলে দিচ্ছে একশ্রণীর অসাধু লোক। হাতির ভয় দেখিয়ে অনেকটা জিম্মি করে অভিনব কৌশলে তারা চাঁদাবাজি করেই চলছে। দোকানি, গাড়ির যাত্রী কিংবা ঢালার হাতির গড়ে টাকা কজে না দেওয়া পর্যন্ত হাতি ওড় এগিয়ে দিয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকে। গত সোমবার দুপুরে জামালপুর শহরের স্টেশন বাজার এলাকায় দেখা যায়, হাতির পিঠে বসা হাতির মাহুত ২০ বছরের এক যুবক। সে তার হাত ও পা দিয়ে হাতিকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছে এবং হাতিটি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে। মান্নত হাতিটিকে দিয়ে একের পর এক ধনবাহন আটকিয়ে দিচ্ছে এবং টাকা না পাওয়া পর্যন্ত কোন যানবাহনকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। গাড়িতে থাকা যাত্রী কিংবা চালকদের অনুরোধ যেন একদম নিষ্ফল আবেদন হাতির পিঠে বসা মজুতের কাছে। এরপর হান্ডির গুঁড়ে টাকা উজে দিলেও অনেকসময় টাকার পরিমান কম হলে সেটি ফিরিয়ে দিচ্ছে হাতি। শুধু চাহিদামতো টাকা পাওয়ার পরপরই মাজুরের ইশারায় হাতি তার গুঁড় উঁচু করে মাছতের কাছে পৌছে
দিচ্ছে চাঁদার টাকা। দিদার আগম নামে এক
প্রাইভেটকার চালক জানান, জামালপুর শহরে শুধু নয়, মাঝে মাঝে গ্রাম গঞ্জেও হাতির দেখা পাওয়া যায় রাস্তার মাজখানে গুঁড় উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর টাকা না দেওয়া পর্যন্ত গুঁড় গাড়ির উপরে ফেলে রাখে। যাত্রীরা টাকা দিতে না চাইলে নিজের পকেটের টাকা দিয়ে সেখান থেকে মুক্তি পেতে হয়। শাহানা বেগম। নামে এক রিকশার যাত্রী বলেন, ছেলেকে স্কুল থেকে নিয়ে রিকশা করে বাসায় যাচ্ছিলাম। এমন সময় হাতি রিকশার সামনে দাঁড়িয়ে গুঁড় উঁচু নিচু করতে শুরু করে। এটা দেখে খুব ভয় পেয়েছি এবং আমার ছেলে হয়ে অন্ত্রা শুরু করে দিয়েছে পরে আড়াতাড়ি টাকা দিয়ে যেখান থেকে মুক্তি লাভ করি। স্টেশন বাজার এলাকার মুদি দোকানদাররা জানান, চাঁনা হাতি উঠলো নাকি মানুষ উঠাল্যে এটা বড় বিষয় নয়। চাঁদাবাজি তো চাঁদাবাজিই। মাজে মাজে হাতির এমন অত্যাচার সত্যি খুব বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করে। এসব হাতির সাথে সম্পৃক্ত লোকদের আইনের আওতায় আনা জুরুরি। চাঁদাবাজির বিষয়ে হাতির মাহুতকে প্রশ্ন করা হলে সে কোন উত্তর না দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে জামালপুর সদর খার (ওসি) আবু ফয়সাল মো. আতিক জানান, হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি হচ্ছে এমন ঘটনা ঘটা মাত্রই পুলিশকে অবহিত করতে হবে। পুলিশ তাৎক্ষণিক এর ব্যবস্থা নিবে। এছাড়াও তিনি এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান। জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্নাত শহীদ পিংকি বলেন, হাতি কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন কোন প্রাণী দিয়ে মানুষকে জিম্মি করে টাকা উঠানো অবশ্যই আইন বিরোধী কাজ। এসবের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের ব্যবস্থা আছে।
Leave a Reply