টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের সুবিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকী বীরউত্তম।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর খোঁজখবর নিতে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে দেখতে যান। এছাড়া তিনি বুধবার গোপালপুরে ওই কলেজছাত্রীর বাড়িতেও যান।
এদিকে মামলা দায়েরের পর তিনদিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষকদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।
ওই কলেজছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন মন্তব্য, হুমকিসহ বিভিন্ন লেখা পোস্ট করে প্রচারণা ও সামাজিকভাবে নিগৃহ করার চেষ্টা করছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক জাকিয়া শাফি কলেজছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণের কথা বললেও সোয়াপ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সদর উদ্দীন বলেন, কলেজছাত্রীকে নির্যাতন ও ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ মানবাধিবার বাস্তবায়ন সংস্থার জেলা শাখার সম্পাদক আতাউর রহমান আজাদ বলেন, ধর্ষণের মেডিকেল রিপোর্ট পেতেই হবে এরকম কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সামাজিক পারিপাশ্বির্ক অবস্থা এবং ভিকটিমের জবানবন্দির ভিত্তিতেও আদালত ইতোপূর্বে আসামিদের শাস্তি দিয়েছেন। হাইকোর্টেরও এমন নির্দেশনা আছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, গণধর্ষণের বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে। খুব দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, মেয়েটির স্বাস্থ্যগত এবং মামলার অগ্রগতি বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ সময় ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রভাবমুক্ত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছি।
Leave a Reply