ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব সমিতি স্থানীয় টাউন হলে ২০১৬ সালে নাসিরনগরে হিন্দু মন্দির ও বাড়িতে হামলার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে একটি সমাবেশের আয়োজন করে।
এই সমাবেশটি ব্যাপক জনসাধারণের মনোযোগ আকর্ষণ করে। কারণ, মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার আগ মুহূর্তে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব সমিতির নেতারা ন্যায়বিচার পেতে দীর্ঘ সময়ক্ষেপের সমালোচনা করেন। তারা বলেন, এই রায়ে পৌঁছাতে দীর্ঘ সাতটি বছর লেগে গেছে। সরকারের ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আন্তরিকতার অভাবে দিকটি তুলে ধরে তারা উল্লেখ করেন যে, শাসক দলের লোকজনও এই ঘটনায় জড়িত ছিল।
তারা আরও বলেন, পুলিশ প্রথম থেকেই মামলা সঠিক ভাবে তদন্ত করতে অনীহা প্রকাশ করেছে। পুলিশ রিপোর্ট ও চার্জশিট যথাযথভাবে জমা দেয়নি। তাদের উদাসীনতার কারণে কমপক্ষে পাঁচজন অভিযুক্ত এখনও পলাতক রয়েছে, যারা এখনো বিচার থেকে বেঁচে গেছে। সমিতির সভাপতি মীর মেহেদী হাসান এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সালমান আহমেদ, সিনিয়র সদস্য মো: আসাদুজ্জামান, কাসেম আলী প্রমুখ।
যুব সমিতির নেতারা শাসক দলের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার ক্ষেত্রে আন্তরিকতার অভাবের কথাও তুলে ধরেন এবং উল্লেখ করেন যে, তারা অনেক সাম্প্রদায়িক হামলার পেছনে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল। তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করার আহবান জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা রোধ করার তাগিদ দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব সমিতির নেতারা নাসিরনগর হামলার শিকারদের ন্যায়বিচারের দাবিতে এবং মামলায় স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার জন্য তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
Leave a Reply