আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিক্ষোভ সমাবেশের নামে আাগামী ২৪ ডিসেম্বর বিএনপি গণ্ডগোল পাকানোর উস্কানি দিচ্ছে।’
আজ ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে পুরনো বাণিজ্যমেলার মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২৪ তারিখ আমাদের জাতীয় সম্মেলন, সেদিন কেন প্রোগ্রাম দিয়েছে তারা? সেদিন কেন তাদের কর্মসূচি আমি জানতে চাই। প্রত্যাহার করুন। বিএনপি ১০ তারিখে ব্যর্থ হয়ে এখন ২৪ তারিখে গণ্ডগোল করার ষড়যন্ত্র করছে।’
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুই মাস আগে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ ডিসেম্বর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। একই দিনে এই বিএনপির কর্মসূচির অর্থ সংঘাতের উসকানি দেওয়া। সংঘাতের উসকানি দেবেন না। আপনারা সতর্ক থাকবেন। বিএনপি জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বুঝে না। অনেক ছাড় দিয়েছি, এবার ছেড়ে দেব না। প্রস্তুত হয়ে যান, এবার ছেড়ে দেব না। এরা ক্ষমতা ফিরে পেতে পাগল হয়ে গেছে।’
এ সময় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া তাদের কোনো কাজ নেই। এখন বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। পাড়া মহল্লায় কেউ বিএনপি বলে নিজেদের পরিচয় দেয় না। কারণ তারা জানে, বিএনপির কথায় কাজে মিল নেই। বিএনপি নেতাদের কোনো খবর নেই, কর্মীদের মনে বল নেই। বিএনপি এখন নদীতে পড়ে গেছে, সেখান থেকে উঠে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম জাহাঙ্গীর কবির নানক ও কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমসহ অনেকে।
এর আগে, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের আওতাভুক্ত বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড এবং ইউনিটের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে মিছিল সহকারে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তারা বিএনপি-জামায়াত বিরোধী নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। -সূত্র : বাসস।
Leave a Reply