সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারী। আজ সোমবার দুপুরে স্বাভাবিকভাবেই ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। প্রসবজনিত কোনো জঠিলতা না থাকায় প্রসূতি ও নবজাতক পুরোপুরি সুস্থ আছে। তবে বাবা পরিচয়ে এখন পর্যন্ত কেই আসেনি। মানসিক প্রতিবন্ধী এ নারীরও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের ধারণা বিকৃত রুচির পুরুষের কুকর্মে এ নারী গর্ভবতী হন।
তাহিরপুর সদর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, মানসিক প্রতিবন্ধী অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী চার মাস আগে থেকে তাহিরপুর বাজারে অবস্থান শুরু করে। লোকজনের কাছ থেকে যা পেতো তাই খেয়ে জীবন রক্ষা করে আসছিল। তবে দিন দিন তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের নজরে আসে। আজ সকালে পাগলীর প্রসব ব্যথা ওঠলে তাকে বাজার কমিটির দায়িত্বশীল লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানেই একটি সুস্থ সবল ছেলে সন্তানের জন্মদেন ওই নারী। বর্তমানে মা ও নবজাতক তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
তাহিরপুর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এরশাদ আলী জানান, নবজাতককে লালন-পালনে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। কয়েকজন ওই নবজাতককে দত্তক হিসেবে নিতে চাইছেন।
উপজেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক মাকছুম মিয়া বলেন, মাঝে মাঝেই এমন ঘটনা ঘটছে। মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর সঙ্গে এমন অমানবিক ও বিকৃত যৌনাচার কেন ঘটছে, তা অনুসন্ধান করে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সুমন চন্দ্র বর্মন জানান, সদ্য ভূমিষ্ট শিশু ও প্রসূতি ভাল আছেন । প্রসবজনিত কোনো সমস্যা নেই। তবুও মা ও শিশুটি এখন আমাদের কাছে পর্যবেক্ষণে রয়েছে। পরবর্তীতে প্রশাসন যেভাবে চায় সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটিকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply