কুয়েতে ভিসা জালিয়াতি ও মানব পাচার করে রিক্সা চালক থেকে শত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া আব্দুল বারেক এর গ্রামের বাড়ি সাতঘড়িয়া, পোস্ট অফিস মিয়াবাজার, থানা চৌদ্দগ্রাম, জেলা কুমিল্লা। জানা গেছে আব্দুল বারেক কে ২০১৯ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর, ভিসা জালিয়াতির মামলায় তিন বছর জেল এবং ৩ হাজার কুয়েতি দিনার জরিমানা করেন কুয়েত ক্রিমিনাল কোর্ট। প্রতারণার শিকার এইসব বাংলাদেশিরা ভিসা আকামা ও কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
কুয়েতের একটি কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং থেকে কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিককে কুয়েত পুলিশ আটক করার পর এসব ভিসা জালিয়াতির দালালদের প্রতারণার ঘটনা উন্মোচিত হয়। দৈনিক আরব টাইমস প্রতিকার প্রতিবেদনে জানা যায়। দেশটির জনশক্তি মন্ত্রণালয় তদন্ত করে দালালদের প্রতারণা প্রমাণ পাওয়ায়, ৪ শত ভিসা ও ১ হাজার ৫০০ ডিনার করে বিক্রির দায়ে একজন স্থানীয় নাগরিক ও একজন মিশরী নাগরিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এবং বাংলাদেশি আব্দুল বারেক, নোয়াখালী সেনবাগের তাইজুল ইসলাম, নরসিংদী সদরের আমির হোসেন ওরফে সিরাজকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা প্রধান করেন।
কিন্তু বাংলাদেশি আব্দুল বারেক জামিনে বের হয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশে চলে আসে। সাম্প্রতিক সময়ে ভিসা জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় কুয়েতের কারাগারে সাজা ভোগ করছেন বাংলাদেশি এমপি পাপুল তার সাথেও আব্দুল বারেক এর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে জানা গেছে। ভিসা জালিয়াতি ও প্রতারণা থেকে কুয়েতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে এইসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রবাসী শ্রমিকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানিয়েছেন আব্দুল বারেক দেশে এসেও বিভিন্ন ভাবে টাকার অভাব দেখিয়ে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। এবং তার গ্রামে দুইটি বাড়ি ,ঢাকা বনশ্রী তে একটি বাড়ি ও একাধিক গাড়ি আছে বলেও জানিয়েছেন কয়েকজন অভিযোগকারী।
Leave a Reply