২০১৮ সালের আগষ্টে বাংলাদেশের তীব্র ছাত্র আন্দোলনের পরের ঘটনাটি নিপীড়ন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার উদ্বেগজনক দাবিগুলিকে উন্মোচিত করেছে, যা কর্তৃপক্ষের মুখে ভিন্নমতের একটি প্রখর চিত্র অঙ্কন করেছে।
জে এম আরিফিন ভূঁইয়া, সরকারের কোটা ব্যবস্থার মধ্যে সংস্কারের জন্য একজন উৎসাহি অধিবক্তা। নিজের এবং তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসের ভয়াবহ কাহিনী নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। আওয়ামী ছাত্রলীগের সদস্যদের দ্বারা ছাত্রদের উপর চালানো হয়রানি, শারীরিক হামলা এবং হুমকির নিরলস প্রচারণার বিশদ বিবরণ রয়েছে।
একটি উদ্বেগজনক বৃদ্ধিতে, সশস্ত্র সন্ত্রাসী চক্র ২০১৯ সালের নভেম্বরের ০৭ তারিখে জনাব ভূঁইয়ার বাসভবন ঘেরাও করে, তার বাবা এবং পরিবারের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে। ঘটনাটি বাংলাদেশের অভিযুক্ত ঐ সকল সন্ত্রাসী ব্যক্তিদের মুখোমুখি হওয়া গুরুতর ঝুঁকির কথা তুলে ধরে। যারা রাজনৈতিক স্থিতাবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে। এ ব্যাপারে স্থানীয় থানায় একটি মামলা হলেও পুলিশ কোন কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করেনি।
মানবাধিকার কর্মীরা এবং বিরোধী ব্যক্তিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, যারা কিনা এই ঘটনাটিকে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে একটি সাজানো ক্র্যাকডাউন হিসাবে দেখেন এবং তার নিন্দা করেছেন।
‘‘পরিস্থিতিটি একটি বিপজ্জনক প্রবণতা প্রতিফলিত করে যেখানে ভয় ও সহিংসতার মাধ্যমে বৈধ কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করা হয়’’ মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট মানবাধিকার আইনজীবি নাসরিন আহমেদ। যদিও সরকার এই অভিযোগগুলিতে নীরব রয়েছে। জনাব ভূঁইয়া ও ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকরা যুক্তি দেন যে, তাদের দুর্দশা দেশে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার ব্যাপক অবক্ষয়ের প্রতীক। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক সালেহ রহমান বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এই অভিযোগগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’’
Leave a Reply