ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সাতজন নারী মুক্তিযোদ্ধাকে (বীরঙ্গনা) সম্মাননা-সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ফুলপুর থানা পুলিশের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়িতা শিল্পী।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ফুলপুর থানা প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ফুলপুর থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বীরঙ্গনাদের নিয়ে কাজ করা সিনিয়র সাংবাদিক নুরুল আমিন, মুক্তিযুদ্ধের স্থানীয় গবেষক সাংবাদিক এটিএম রবিউল করিম। উপস্থিত বক্তারা এ সময় বীরঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে যেন যথাযথ সম্মান, তাঁদের জন্য আবাসন, বীরঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য যথাযথ কর্মসংস্থানের দাবি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এএসপি জয়িতা শিল্পী উপস্থিত বীরাঙ্গনা এসব নারী মুক্তিযোদ্ধাদের ১৯৭১ সালে পাক-হানাদার বাহিনীর বীভৎস অধ্যায়ের গল্প শুনে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।
তিনি বলেন, আপনাদের সম্মান রাষ্ট্রের সবচাইতে সম্মান জনক ব্যক্তি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়ে গেছেন। আপনাদের অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। পুলিশের এ নারী কর্মকর্তা তাঁদের দিকে তাকিয়ে বলেন, আপনারা আমার মা। আমি মা জননী হিসাবেই আপনাদের সম্মান করব।
এসব নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনেকের মাথা গোঁজার জন্য একটু ঠাঁই চান। সকলের দাবি, মুক্তিযোদ্ধার ভাতা, তাঁদের সন্তানেরা যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারেন সেই স্বীকৃতি ও সম্মান চান তাঁরা।
ওসি ইমারত হোসেন গাজী বলেন, বীরঙ্গনাদের সম্মান, সহায়তা ও তাঁদের পরিবারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে ফুলপুর থানার পুলিশ। অনুষ্ঠান শেষে ৭ জন বীরঙ্গনাকে সংবর্ধনা ও উপহার সামগ্রী তাঁদের হাতে তুলে দেন প্রধান অতিথি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুলপুর থানার পুলিশ অফিসার, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সংবর্ধনা পাওয়া বীরঙ্গনরা হলেন সুরবালা সিং (পূর্ববাখাই), শাহেরা খাতুন (পাইকপাড়া) সালেহা খাতুন (লাউয়ারী) কমলা খত্রিয় (পশ্চিম বাখাই) শহর বানু (লাউয়ারী) রেজিয়া খাতুন (ইমাদপুর) ময়মনা খাতুন (ফতেপুর)। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় সহযোগিতা করেন ফুলপুর ওপেন স্কাউট দলনেতা তাসফিক হক নাফি ও ফুলপুর থানার পুলিশ।
Leave a Reply