চারিদিকে শুকনো অথচ হালকা বৃষ্টিতেই এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে জলাবদ্ধতা। চিত্র টি পাবনা সদরের আতাইকুলা ইউনিয়ন এর অন্তর্গত সারদিয়ার গ্রামের বাজার সংলগ্ন পালপাড়ার রাস্তার। ফলে পালপাড়ার ৩০ টি পরিবারের শতাধিক মানুষ সহ মাটির তৈজসপত্র ক্রয়কারী ক্রেতারা পড়েন চরম দুর্ভোগে। এছাড়া বিকেল হলে বাড়ির পাশে বাজার হওয়া সত্ত্বেও এলাকাবাসীর অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয় বাজারে যেতে।
সারা বছর রাস্তা শুকনো। কিন্তু বর্ষার মৌসুম সহ হালকা বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাটু সমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট বহুবার আবেদন করা হলেও এবং বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর হলেও প্রায় এক যুগ ধরেও রাস্তাটি পাকাকরণ বা সঠিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছবি সহ প্রচার এর মাধ্যমে ক্ষোভ জানিয়েছেন।
এই ছোট্ট পালপাড়ায় প্রতিদিনই শত শত মানুষ মাটির তৈজসপত্র ক্রয় করতে আসেন। তাদেরই একজন বলেন, “আমাদের প্রায় নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন মাটির তৈজসপত্র কেনার প্রয়োজন পড়ে। চারিদিকে শুকনো, শুধু এটুক রাস্তায় জলাবদ্ধতার জন্য আমরা আজকাল প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও কিছু কিনতে যেতে পারি না।”
পাবনা- ৫ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপির উদ্দেশ্যে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে এলাকাবাসী জানান, “আমাদের এমপি মহোদয় আশের পাশের সকল রাস্তা ঘাট মেরামত, নতুন করে তৈরিকরণ করলেও এখনো আমাদের ছোট এই রাস্তাটির (১০০ মিটার প্রায়) কোনো সুরাহা হলো না। এমপি মহোদয় এর নিজের পিতৃস্থান এই সারদিয়ার। তার হাত ধরেই আমরা রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার চাই।”
উল্লেখ্য, প্রতিদিন এই রাস্তায় মানুষ সহ মাটি বোঝাই গাড়ি, মোটরসাইকেল ও চলাচল করে। রাস্তায় জলাবদ্ধতা ও খালখন্দ, কাঁদার কারণে অনেক সময় গাড়ি উল্টে যায়। তাই এই কাঁচা রাস্তায় প্রতিবছর সকল পরিবার মিলে মাটি দিয়ে ভরাট করলেও দুদিন পর অবস্থা আগের মতোই হয়ে যায় যায়। তাই রাস্তা পাকাকরণের মাধ্যমে স্থায়ী একটি ব্যবস্থার দাবি এলাকাবাসীর।
Leave a Reply