1. iamparves@gmail.com : admin :
  2. janathatv19@gmail.com : Shohag Khan : Shohag Khan
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৬:৫২ অপরাহ্ন

সাগরের কোলঘেঁষা এক জনপদে সূর্যোদয় দেখার আকর্ষণীয় স্পট গঙ্গামতি

উত্তম কুমার হাওলাদার
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২১

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ

সারি সারি শত শত ঝাউ গাছের মাথা বাতাসে দোল খাচ্ছে। সৈকতে আছড়ে পড়ছে ছোট ছোট ঢেউ। আর গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে ট্রলার নিয়ে ছুটছে জেলেরা। কেউ বা ফিরে আসছে তীরে। আবার জেলে পরিবারের ছোট ছোট শিশুরা সৈকতে খেলা করছে নির্বিঘেœ। এই হচ্ছে গঙ্গামতির সৈকত। যেন চোখ ফেরানো যায় না। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের দক্ষিণে সাগরের কোলঘেঁষা এক জনপদ।

মনোলোভা দৃশ্য সূর্যোদয় দেখার জন্য এ স্পটটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন প্রত্যুষে দল বেধে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। এ সৈকত কারও কাছে লাল কাঁকড়ার চর নামেও পরিচিত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সূর্যদয় দেখার একমাত্র স্পট এই গঙ্গামতি সৈকত। প্রায় তিন হাজার একরেরও বেশি খাসজমি নিয়ে বিশাল বেলাভূমি। বন বিভাগের মাইলের পর মাইল

সংরক্ষিত বনাঞ্চল প্রকৃতির সকল সৌন্দর্য যেন সাজিয়ে রাখা। এ বনাঞ্চলে এক সময় বিরল প্রজাতির পাখিসহ মাঝে মধ্যেই চোখে পড়বে বন্য শুকড়, কাঠ বিড়ালী, শিয়াল। এছাড়া অবলোকন করা যাবে সাগরে সংগ্রামী জেলেদের জীবনযাত্রা। কিন্তু এই সৈকত বরাবরই রয়ে গেছে অবহেলায়। এ কারনে প্রকৃতি ক্রমশ ধ্বংস হওয়ায় প্রাণী ও জীব বৈচিত্র হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।


গঙ্গামতি এলাকার ইলিয়াস মোল্লা জানান, কুয়াকাটায় আসা শত শত পর্যটক সূর্যোদয় দেখার জন্য প্রতিদিনই গঙ্গামতি সৈকতে আসে। দিনভর তাদের হৈ-হুল্লুরে মাতোয়ারা থাকছে সৈকত। তবে প্রতিটি ঝড়, জলোচ্ছাস ও সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে অব্যাহত বালুক্ষয়ে একে একে উপড়ে পড়ছে সারি সারি গাছ। কিন্তু এই সৈকত রক্ষায় কখনই কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
পর্যটক শহিদুল ইসলাম বলেন, বালুতটে লাল কাঁকড়ার লুকোচুরি দূর থেকে দেখলে মনে হয়েছে সৈকত জুড়ে লাল কার্পেট বিছিয়ে রেখেছে। গত দু’দিন আগে কুয়াকাটা এসে বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছি। সূর্যদয় দেখার সুযোগ আছে শুনেই গঙ্গামতির সৈকতে এসেছি। অপর পর্যটক তানিয়া বলেন, সূর্যোদয়ের মত মনোলোভা দৃশ্য উপভোগ ছাড়াও সৈকতের বালুকা বেলায় লাল কাঁকড়ার নৃত্য ও প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য আমাকে এখানে টেনে এনেছে।

ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক’র সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, কুয়াকাটা জিরো পায়েন্ট থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার পূর্বদিকে গঙ্গামতি সৈকতের অবস্থান। এ স্পটটি বিরল মনোলোভা দৃশ্য সূর্যোদয় দেখার জন্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। পর্যটকরা প্রতিদিন প্রত্যুষে দল বেধে ছুটে যায়।


ধুলাসর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান আব্দুল জলিল মাষ্টার বলেন, এখানে গড়ে উঠেছে পর্যটক নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া পর্যটকদের সুবিধার্থে স্থাপন করা হয়েছে সুপেয় পানির ২টি টিউবওয়েল, ২টি বাথরুমসহ পিকনিক স্পট।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জেনের পরিদর্শক মো.হাচনাইন পারভেজ খালেক বলেন, পর্যটকরা যাতো কোন সমস্যা না পরে সে জন্য আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশ গঙ্গামতির সৈকতে কাজ করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৩৭
  • ১২:২৯
  • ৫:০১
  • ৭:০১
  • ৮:২০
  • ৫:৫৪