মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
৭ জুলাই ২০২৪ রবিবার দিবাগত রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের আন্ধরা গ্রামে রবিন মিয়ার বাড়িতে রাতে এক রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার রাতে রবিনের পিতা আতাহার আলী বাড়িতে ছিলেন না।
রবিনের আম্মা সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার দিন রবিবার সকাল ১১ টার দিকে আমি পাশের বাড়ির কাউসার (২০)কে পেয়ারা খাওয়ার জন্য লবণ মরিচের মিশ্রণ (সুরকি) বানিয়ে আনতে বলি। কাউসার সুরকি বানিয়ে আনলে ঐ মিশ্রণ দিয়ে আমার ছোট ছেলে সহ কাউসার পেয়ারা কেটে খায়। এর কিছুক্ষণ পরেই ওরা বমি করে এবং বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়ে। অনেক ডাকাডাকি করেও ওদের ঘুম ভাঙ্গে না দেখে ঘটনাটি আমি আমার বড় ছেলে রবিন ও আমার স্বামীকে জানাই। একপর্যায়ে কাউসার বিকালে নিজের বাড়িতে চলে যায়। এরপর কাওছারের দাদী এসে আমাকে জিজ্ঞেস করে কাউসার আপনাদের বাড়িতে কি খেয়েছে, ও তো ঠিকমত হাঁটতে পারছে না শুধু ঘুমাতে চাচ্ছে। আমি তখন কাউসারের দাদিকে পেয়ারা খাওয়ার ঘটনাটি খুলে বলি। ওনি তখন নিজ বাড়িতে চলে যান। রাতে আনুমানিক ১১টার দিকে আমরা সবাই দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ২টার দিকে কিসের শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘরে আলো জ্বালাতেই দেখি দরজা খোলা, আলমারির তালা ভাঙ্গা। আমি তখন প্রতিবেশীদের ডাক দেই। সবকিছু খোঁজাখুঁজির পর দেখি ঘরে রাখা দেড় ভরি স্বর্ণালংকার, ৪ ভরি রুপা ও আলমারির ড্রয়ারে রাখা ২০,০০০ (বিশ হাজার) নগদ টাকা খোয়া গেছে। ঘটনার দিন বাড়িতে আত্মীয় ছিল, সৌভাগ্যক্রমে তাদের কিছু হয়নি।দুপুরে খাবার খেয়ে আত্মীয়রা নিজ বাড়িতে চলে যান।
চোর ধরা পড়ুক, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি তার খোয়া যাওয়া মালামাল ফিরে পাক, এমন ঘটনা যেন আর কারো বাড়িতে না হয়,এলাকাবাসীর প্রত্যাশা।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় জিডি করা হয়েছে।
Leave a Reply