টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগর ছাড়িয়ে গ্রামেও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এলাকার বাসিন্দাদের গত কয়েকদিন ধরেই ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে পার করতে হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, নগরে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজে সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কী করছে।
সিডিএ পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
রোববার সকালে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে সিটি করপোরেশনের ভূমিকা নেই। এরপরও মানুষজন সিটি করপোরেশনকে গালিগালাজ করছে। তারা (সিডিএ) করপোরেশনকে কোনো কিছুই জানায়নি। ইচ্ছামতো কাজ করছে। এত বড় একটি প্রকল্প, চট্টগ্রামবাসীর বাঁচা-মরারও প্রশ্ন, এরপরও তারা সমন্বয় করছে না।’
প্রকল্প সম্পর্কে মেয়র রেজাউল করিম বলেন, ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ, সব মেয়রের দোষ। কিন্তু এ মেগা প্রকল্পে তো মেয়রের সংশ্লিষ্টতা নেই। এই প্রকল্পে কিছু করার মতো ক্ষমতাও নেই মেয়রের। শুধু খালের দুই পাড়ে প্রতিরোধ দেয়াল দিলে কিছু হবে না। খাল থেকে মাটি তুলতে হবে। চান্দগাঁও, বাকলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় ভরাট থাকা খাল দিয়ে ঠিকভাবে পানি যেতে পারছে না। এখানে চাক্তাই, বীর্জা খালসহ অন্য খালগুলোও পরিষ্কার করতে হবে।’
চসিক মেয়র আরও বলেন, ‘তারা (সিডিএ) একেকটা খাল কত গভীর করেছে, সেটা জনগণের জানার অধিকার রয়েছে। সিডিএর প্রকল্পের ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) ৯ কোটি কিউবেক মাটি উত্তোলনের কথা আছে। সে পরিমাণ মাটি তুলেছে? মাটি উত্তোলন করা না হলে প্রকল্পের সাফল্য আসবে না। কিছুদিন আগে সমন্বয় সভায় বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিটি করপোরেশন ও সিডিএর সমন্বয়ে যৌথ একটি দল গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও সিডিএ এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি।’
মেয়র রেজাউল করিম বলেন, ‘সিডিএর প্রকল্পে সিটি করপোরেশনের হাত নেই। কিন্তু মানুষ করপোরেশনকে গালিগালাজ করছে। আমি সিটি কাউন্সিলরদের সঙ্গে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য বলেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কাউন্সিলরকে ডেকেছে? সিডিএ নিজেদের মতো কাজ করছে।’
Leave a Reply