আজ বরকল উপজেলার বহুল প্রতীক্ষিত বরকল ও সাকড়াছড়ি সংযোগ সেতুর সয়েল টেস্ট পরীক্ষা হয়ে গেল আজ।পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী উন্নয়ন অবকাঠামো প্রকল্পের আওতায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ হতে যাওয়া এই ব্রীজটি নির্মাণ হলে আইমাছড়া ও বরকল সদর ইউনিয়নের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের সাথে সাথে বরকল ও জুরাইছড়ি সংযোগ সড়কের ক্ষেত্রে প্রধান ভুমিকা পালন করবে।
এ বিষয়ে আইমাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সুবিমল চাকমা জানান,সেতুটি নির্মাণ হলে বরকল উপজেলাতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
এ বিষয়ে বরকল এলজিডি কর্মকর্তা মশিউর রহমান খান জানান,এই সেতুটি মুলত জুরাইছড়ি ও বরকলের সড়ক পথে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা পালন করবে।সব কিছু ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই সেতুটির নির্মাণ পক্রিয়া শুরু হবে।
ভূনিন্মস্থ মাটির নিরাপদ ভারবহন ক্ষমতা নিরুপণের জন্য সয়েল টেস্ট করা হয়।সঠিক ফাউন্ডেশন ডিজাইন এবং সঠিকচন ব্যয় বা খরচ নির্ধারণে মাটি পরীক্ষা (সয়েল টেস্ট) অত্যাবশ্যক।এখানে জেনে রাখা দরকার যে, নির্মাণ সাইটে মাটি পরীক্ষা ব্যতীত সেতুর ফাউন্ডেশন ডিজাইন সম্ভব নয়।এছাড়াও যে কোন ধরনের স্থাপনা যেমন, আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক ভবন, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির, হাসপাতাল, শপিং কমপ্লেক্স, সড়ক-মহাসড়ক, রেললাইন, এয়ারপোর্ট, পাওয়ার প্লান্ট ইত্যাদি ডিজাইনের জন্য সয়েল টেস্ট অপরিহার্য। কোন নিচু জায়গা কিংবা ভরাট মাটির জায়গায় নির্মাণ কাজে অবশ্যই মাটি পরীক্ষা করতে হবে। তবে আমাদের দেশের মাটির নিরাপদ ভার বহন ক্ষমতা বর্গমিটারে ৯-১০ টন থাকে বলে প্রকৌশলীগণ সাধারনত #Light Structure (এক দুইতলা ভবন) এর জন্য সয়েল টেস্ট রেফার করেন না, এই হালকা ভবনগুলোর ফাউন্ডেশনে এর থেকে বেশি লোড আসে না। তবে অবশ্যই তিনের অধিক ভবনের জন্য সয়েল টেস্ট জরুরী। মনে রাখবেন সয়েলটেস্ট ছাড়া ডিজাইন করা আর ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ খাওয়া একই কথা। ইহা ছাড়া ভূনিন্মস্থ মাটির বৈশিষ্ট্য জানা কারও পক্ষে সম্ভব নয়, একমাত্র সয়েল টেস্ট রিপোর্ট দেখেই একজন প্রকৌশলীর পক্ষে বলা সম্ভব স্থাপনা সুরক্ষার জন্য কি ধরনের ফাউন্ডেশন প্রয়োজন ।
Leave a Reply