ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী আবদুর রহমান সেন্টু বিগত ০৭ নভেম্বর রাতে তার অফিসের সামনে একদল সশস্ত্র হামলাকারীর দ্বারা নৃশংসভাবে আক্রমণের শিকার হন বলে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সন্ধ্যা আনুমানিক ৭:৩০ মিনিটে কাউন্সিলর রতন এর নেতৃত্বে ১০-১১ জন জনাব আবদুর রহমান তার অফিস থেকে বের হওয়ার সময় ঘিরে ধরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা লোহার পাইপ ও বিভিন্ন ধারলো অস্ত্র দিয়ে তাকে নির্মমভাবে মারধর করতে শুরু করে। তার অফিসের দুই কর্মচারী যখন তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন, তখন তারাও হামলার শিকার হন। পথচারীরা জড়ো হতে থাকলে হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় । গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় আবদুর রহমান সেন্টুকে তাৎক্ষণিকভাবে কাছের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা যায়।
তার পরিবার ও সহকর্মীরা তার নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ তিনি আগে থেকেই একাধিক হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন এবং যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট এর সাথে অনেক দিন ধরেই নানান বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। ধারণা করা হচ্ছে, বেসামরিক বিমান চলাচল খাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার স্পষ্ট অবস্থান ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দেওয়া সাক্ষ্যের কারণেই তিনি এই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হন। এর আগেও ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ, রতন ও তার সহযোগীরা আবদুর রহমান ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এটাব) নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে চাপ দেয়ায় আবদুর রহমান নিকটস্থ থানায় একটি জিডিও করেন।
এই ঘটনার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা ছিল হতাশাজনক। হামলার পর মি. আবদুর রহমানের পরিবার খিলগাঁও থানায় সাহায্য চাইলেও, পুলিশ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ ঘটনায় এলাকাতে ব্যাপক চাঞ্চল্যে এবং ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার স্থানীয় লোকজন এবং ব্যাবসায়ী ব্যক্তিবর্গ এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপার এ কাউন্সিলর রতন এর ফোন কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি তাদের গোচরে এসেছে এবং লিখিত অভিযোগ পেলে তারা ব্যবস্থা নিবেন।
Leave a Reply