আমরা জামায়াতকে চাই না, তেমনই আমরা বিএনপিকেও চাই না। বিএনপির রাজনীতিকে চিরতরে উচ্ছেদ করতে হবে।’
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠন আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় মানববন্ধন থেকে ৭ দফা দাবি জানান ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সেনা ও বিমানবাহিনীর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও চাকরিচ্যুত সদস্য এবং ফাঁসি দেওয়া সদস্যদের পরিবারগুলো।
শামসুদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার মুখোশ পরে জিয়া আসলে ছিল পাকিস্তানি চর।’ তাই জিয়াউর রহমান ও স্বাধীনতাবিরোধীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন ও সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের কবর সরিয়ে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘জাপানি এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন হাইজ্যাক করে ঢাকায় নিয়ে এসেছিল। এতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী কিংবা বিমানবাহিনীর কোনও সদস্যের সম্পৃক্ততা ছিল না। কিন্তু জিয়া একটা ছুতা ধরে তাদের ডেকে এনে বিচারে নামে প্রহসন করে তাদের হত্যা করে। সেই লাশগুলোও তাদের স্বজনদের দেয়নি। কবে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, কোথায় দেওয়া হয়েছে, এটাও কেউ জানে না। পরিবার যে কবরে তাদের দুঃখ-কষ্ট প্রকাশ করবে, তারও কোনও উপায় নেই।’ তাই দ্রুত এ ঘটনার জন্য সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান তিনি।
পরবর্তী নির্বাচনের আগেই দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার বজলুল হক বলেন, ‘জিয়ার কবর যদি এখানে থাকে, তাহলে যাদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের আত্মা শান্তি পাবে না। তাদের যেসব আত্মীয়স্বজন এই পথ দিয়ে যায়, তারাও শান্তিতে থাকতে পারবেন না।’
দেশের মানবাধিকার রক্ষার জন্য মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সবাইকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব) হেলাল মোর্শেদ (বীর বিক্রম)। তিনি বলেন, ‘দ্রুত সংসদ এলাকা থেকে জিয়াসহ সব যুদ্ধাপরাধীদের কবর সরানো হোক।’ এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের কবব প্রতিস্থাপন করার দাবিও জানান তিনি।
পরে মানববন্ধন শেষে স্বজনরা একটি র্যালি নিয়ে সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে তাদের কর্মসূচি শেষ করেন।
Leave a Reply