1. iamparves@gmail.com : admin :
  2. janathatv19@gmail.com : Shohag Khan : Shohag Khan
  3. hdtariful@gmail.com : Tariful Rumon : Tariful Rumon
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০১:০৩ অপরাহ্ন

রাতের আধারে পরীক্ষা নিতে এসে ধরা মাদ্রাসা অধিদপ্তরের পরিদর্শক

হামিমুর রহমান, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০


ময়মনসিংহের নান্দাইলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের যোগসাজনে রাতের অন্ধকারে নিয়োগ নিতে এসে এলাকার লোকজনের হাতে ধরা পড়লেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক বাদশা মিয়া।

শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে নান্দাইল উপজেলার রসুলপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসায় এমন ঘটনায় ঘটেছে।

গভীর রাতে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করায় স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নিয়ে কর্তৃপক্ষ যা ইচ্ছা তা-ই করে যাচ্ছে। এসব অনিয়ম দেখার কি কেউ নেই?

তাছাড়াও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক বাদশা মিয়া রাতের আধারে পরীক্ষা পরিদশর্ন করতে এসে স্থানীয়দের কাছে ধরা পড়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

স্থানীয় সুত্র জানায়, মাদ্রাসার লাইব্রেরিয়ান পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থানীয় একটি অখ্যাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও তেমন প্রচার হয়নি।

এদিকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন মাদরাসার অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম।চাকরী থেকে অবসরে যাওয়ার মাত্র ছয় দিন আগে নিজের মেয়েকে চাকরী পাইয়ে দিতে গভীর রাতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন তিনি। এই পরীক্ষায় চাকরী প্রত্যাশী চাদর জনই অধ্যক্ষের তিন ছেলে ও এক মেয়ে।

এমতাবস্থায় রাত ১২টার দিকে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন প্রার্থীরা। সেখানে ছিলেন মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের অনেক সদস্য ছাড়াও কয়েকজন শিক্ষক। পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রায় ৩০ মিনিট পরে আসেন ডিজির প্রতিনিধি বাদশা মিয়া।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরিদর্শক বাদশা মিয়া মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক। সাদা একটি প্রাইভেটকার যোগে গভীর রাতে মাদরাসায় প্রবেশ করাতে অনেকের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে ঘটনাটি জানতে পেরে লোকজন ছুটে এলে তিনি গাঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

একপর্যায়ে স্থানীয়দের তোপের মুখে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে রওনা হওয়ার হওয়ার সময় গাড়িটি নষ্ট হয়ে যায়। তাই আসতে দেরি হয়েছে। এর জন্য তিনি ক্ষমাও চান। পরে দ্রুত এলাকা ছাড়েন তিনি।

এ বিষয়ে পরদিন শনিবার তাঁকে ফোন দিলে তিনি রাতের ঘটনাটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, অধ্যক্ষের ফাঁদে পড়ে তিনি মাদরাসায় গিয়েছেন। যা আদৌ ঠিক হয়নি। এটা তাঁর ভুল হয়েছে।

এ বিষয়ে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য তারা মিয়া বলেন, হুজুরের চাকরি শেষ। তাই নিজের ছেলেকে চাকরিটা দিতেই এই ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার চাকরীর মেয়াদ শেষ। তাই রাতেই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সবই নিয়মের মধ্যে হয়েছে।

মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। যেহেতু রাতের আধারে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। তা আমার জানার কথাও না।

এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রোকন উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাদ্রাসার আলিম আলিম পর্যায়ের মাদরাসার নিয়োগ কমিটিতে তাদের কোনো প্রতিনিধি থাকেন না। তাছাড়া বিষয়টি মাদ্রাসার কতৃপক্ষ বিষয়টি আমাকে জানায়নি।

এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তাছাড়া মাদ্রাসার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারেও নেই।


Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:২২
  • ১২:২৮
  • ৫:০৩
  • ৭:১০
  • ৮:৩৩
  • ৫:৪৩