শংকরপুর এর নুর হোসেন হত্যাকান্ড এর ১নং আসামী গ্রেফতার ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো ডিবি পুলিশ।
গত ইং-১১/০৫/২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন শংকরপুর চোপদারপাড়া বারেক সড়ক কালেনার দোকানের সামনে উক্ত এলাকার মোঃ নজরুল এর ছেলে নুর হোসেন এর লাশ পাওয়ার সংবাদ পেয়ে কোতয়ালী থানা ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। উক্ত ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় অত্র মামলা রুজু হয়। (যশোর কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৩২, তাং- ১২/০৫/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড) পরবর্তীতে উক্ত মামলাটি তদন্ত সহ আসামী গ্রেফতারের জন্য ডিবির এসআই/ খান মাইদুল ইসলাম ও এসআই/হরষিত রায় এর সমন্বয়ে একটি চৌকষ টিম অভিযান পরিচালনা শুরু করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় উক্ত টিম ইং-১৩/০৫/২০২৪ তাং সকাল ০৭.৩০ ঘটিকার সময় ডিএমপি ঢাকা, সিরাজদিখান থানা এলাকা হইতে আসামী রনি @ কানা রনি(২৮), পিং-বাবু শেখ, সাং-শংকরপুর চোপদারপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-যশোরকে গ্রেফতার করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত নুর হোসেন(১৯), পিং-মোঃ নজরুল ইসলাম, সাং-শংকরপুর চোপদারপাড়া বারেক সড়ক, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-যশোরকে ফুলবল খেলাকে কেন্দ্র করে ইং-১১/০৫/২০২৪ তাং রাত অনুঃ ০৮.৩০ ঘটিকার সময় কোতয়ালী মডেল থানাধীন শংকরপুর চোপদারপাড়া বারেক সড়ক কালেনার দোকানের সামনে ধৃত আসামীর নের্তৃত্বে ভিকটিমের ঘাড়ে ক্রিকেটষ্ট্যাম দিয়ে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দিয়ে অন্যান্য আসামীরা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং পলাতক আসামী পচা এর হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়া ভিকটিমকে তলপেটে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে এবং আসামী আশিক ও পাপ্পু ভিকটিমকে ধরে রাখে এবং আসামী বাধন এর হাতে থাকা চাকু দিয়ে ভিকটিমের মলদ্বারের উপরের মাংস পেশিতে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। অন্যান্য সকল আসামীরা ভিকটিমকে এলোপাতাড়ী মারপিট করিয়া জখম করিয়া ফেলে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় ইজিবাইক যোগে ভিকটিমকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমের অবস্থা মূমুস্য দেখিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ভিকটিমকে তার পিতা-মাতা ও নিকট আত্মীয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে পথিমধ্যে মারা যায়। নিহতের পরিবারের সদস্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু হয়।
Leave a Reply