নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া শুরু হয় ১৯০১ সাল থেকে। তারপর থেকেই এ পুরস্কারটি রাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এবারও জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে কে পাচ্ছেন তা। ঘোষণার আগে জানা যায় না কে পাচ্ছেন শান্তিতে নোবেল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা: কোভিড-১৯ কে বিশ্বব্যাপী মহামারী হিসাবে ঘোষণা করা থেকে শুরু করে জনস্বাস্থ্যের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করাসহ সামনের সারি থেকে দায়িত্ব পালন এবং বিশ্বের কেন্দ্রে পরিণত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাই এবার নোবেল শান্তি পুরস্কার ডব্লিউএইচও উঠতে যাচ্ছে- এমনটাই শোনা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
গ্রেটা থানবার্গ: কিশোর জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থানবার্গ ও বিশ্ব প্রতিবাদ আন্দোলন ‘ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার’ কে ২০২০ সালের নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করেন সুইডেনের দুই সংসদ সদস্য। গ্রেটা ২০১৯ সালের নোবেল পুরস্কারের প্রাপ্যদের তালিকায়ও সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকবার বলেছেন, যে তিনি বিশ্বাস করেন যে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। ২০১৮ সালে, ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি নর্থ কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে পারমাণবিক অস্ত্র ছেড়ে দিতে রাজি করার প্রচেষ্টার জন্য তিনি এই পুরস্কারের অধিকারী। এছাড়া মধ্যেপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাইরানের মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে হওয়া চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ট্রাম্পের সম্ভাবনা বেড়েছে।
অধ্যাপক ড. রুহুল আবিদ: নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিনি অধ্যাপক ড. রুহুল আবিদ এবং তার অলাভজনক সংস্থা হেলথ অ্যাণ্ড এডুকেশন ফর অল (হায়েফা)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে স্নাতক এবং জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোলিকুলার বায়োলজি ও জৈব রসায়নে পিএইচডি অর্জন করেছেন ড. রুহুল আবিদ। এরপর ২০০১ সালে তিনি হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল থেকে ফেলোশিপ সম্পন্ন করেন।
ব্রাউন গ্লোবাল হেলথ ইনিশিয়েটিভের একজন নির্বাহী সদস্য ড. রুহুল আবিদ। বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিতদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে তার স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল (হায়েফা)। বর্তমানে সংস্থাটি দুটি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে করোনা সংক্রমণরোধে দক্ষতার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সংস্থাটি।
Leave a Reply