জাল সনদের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৫১২টি জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদের মধ্যে ৩২৩ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত। এই শিক্ষকদের কাছ থেকে মোট ১৯ কোটি ৫২ লাখ ৭১ হাজার ৩৭০ টাকা আদায়ের সুপারিশ করা হয়েছে। বাকি ১৮৯ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত নন, তাই তাঁদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সুপারিশ করা হয়নি। এ ছাড়া তদন্তে ১৩৫টি জাল কম্পিউটার সনদের তথ্য পেয়েছে ডিআইএ। এর মধ্যে ১২৫ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত, তাঁদের কাছ থেকে মোট ১৩ কোটি ৪০ লাখ ৫৫ হাজার ৪১ টাকা আদায়ের সুপারিশ করা হয়েছে। এর বাইরে আরও ৩১ জন শিক্ষকের বিএডসহ গ্রন্থাগার, সাচিবিকবিদ্যা ও অন্যান্য বিষয়ের সনদ জাল। তাঁদের কাছ থেকে ২ কোটি ৭ লাখ ২৯ হাজার ৭০৭ টাকা আদায় করা হবে।
আরও দেখা যায়, এনটিআরসিএর জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ সবচেয়ে বেশি দেখিয়েছেন রাজশাহী বিভাগের, ২৩০ জন এবং সবচেয়ে কম চট্টগ্রাম বিভাগের, ২২ জন।
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (নিরীক্ষা ও আইন) মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাঁরা জাল সনদ নিয়ে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন, তাঁদের এমপিওভুক্তি ও নিয়োগ বাতিল এবং অর্থ ফেরত নেওয়া হবে। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হবে। আমরা এরই মধ্যে এ বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি।’
Leave a Reply