লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল হক মোনা ও তার বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাসী স্টাইলে দীর্ঘ ২৫ বছরের নির্মাণকৃত দোকান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে লুটপাট চালিয়েছেন। শুধু দোকান গুড়িয়ে দেয়াই শেষ নয়, জায়গা ছেড়ে দ্রুত চলে না গেলে হত্যারও হুমকি দিন তিনি। এ ঘটনায় হাতিবান্ধা থানায় একটি এজা্হার দায়ের করেছে ভূক্তভোগী।
রবিবার ( ৬ জুলাই) দুপুরে অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহা আলম। এর আগে গত শুক্রবার (৩ জুলাই) হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের দইখাওয়া বাজারের ব্যবসায়ী আঃ গফ্ফার আলী দোকানদারের উপর এই হামলা চালায় উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গফ্ফার নামে দইখাওয়া হাটে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের দক্ষিণ পাশে টিন সেটের একটি দোকানে দীর্ঘ ২৫ বছর থেকে একটি হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করে সংসার চালিয়ে আসছেন। তার পুরাতন দোকান ঘরটি সংস্করণ করতে গেলে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল হক মোনা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। ব্যবসায়ী গফফার এই চাঁদার দিতে অস্বীকার করলে চেয়ারম্যান তার ক্ষমতা দেখিয়ে দোকানঘর সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দেন। শুধু তাই নয় সন্ধ্যায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ওই দোকানে হামলা চালায় এবং দোকানে লুটপাট চালায়। এসময় দোকানে থাকা দুইলক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায় ও ১০ হাজার টাকার হার্ডওয়্যার মালামাল ভাংচুর করে।
অভিযোগকারী আব্দুল গফফার এ বিষয়ে জানান, দীর্ঘ ২৫ বছর থেকে আমি সরকারি এই জায়গাতে দোকান দিয়ে সংসার চালাচ্ছি। আমার দোকান ঘরটি সংস্কার করতে গেলে চেয়ারম্যান আমার কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদার দিতে অস্বীকার করলে হঠাৎ করেই তারা আমার দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে চলে যায়। আমি পুলিশ প্রশাসনের নিকট এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
এই বিষয় গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোনাব্বেররুল হোসেন (মোনার) সাথে কথা হলে তিনি জানান, পরিষদের জায়গায় দোকান না দেয়ার জন্য চৌকিদার দিয়ে কাজ বন্ধ করেছিলাম। এসময় মিস্ত্রীর অস্ত্রপাতিও নিয়ে আসি।কিন্তু পরে তা ফেরত দেই, কারণ প্রটোকল অনুযায়ী আমি চেয়ারম্যান এই হাটবাজার কমিটির সভাপতি। তাই তিনি হাটের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন।
এই বিষয়ে হাতিবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে । তদন্ত শেষ হলে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply