বানারীপাড়া প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বিস্তীর্ণ জনপদ। একমাত্র সম্বল ভিটেমাটি ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হাজার হাজার পরিবার।
এলাকাবাসী জানায়, অনিয়মতান্ত্রিক ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বানারীপাড়ায় রাক্ষুসে সন্ধ্যা নদীর ভাঙন তীব্র রূপ ধারণ করেছে। এ কারণে ভাঙছে নদী, পুড়ছে কপাল, কাঁদছে হাজারো মানুষ।
আর আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে সুবিধাবাদী ও স্বার্থান্বেষী মহল।
অনিয়মতান্ত্রিকভাবে যত্রতত্র বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে নদীশাসন বিশেষজ্ঞরা জানান, নদীর যে স্থানে ভাঙন তীব্র রূপ ধারণ করছে, সেখান থেকে বালু উত্তোলন করলে নদীর গভীরতা আরো বৃদ্ধি পেয়ে আশপাশের এলাকাও ভাঙনের কবলে পড়ে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে এরই মধ্যে সন্ধ্যা নদীর তীরবর্তী উপজেলার উত্তর নাজিরপুর, দক্ষিণ নাজিরপুর, দান্ডয়াট, শিয়ালকাঠি, জম্বদ্বীপ, ব্রাহ্মণকাঠি, কাজলাহার, ডুমুরিয়া, ইলুহার, ধারালিয়া, বাসার, নলশ্রী, মসজিদবাড়ী, গোয়াইলবাড়ী, খোদাবখসা, কালীর বাজার, চাউলাকাঠি, মীরেরহাট ও খেজুরবাড়ী গ্রামের কয়েক শত একর ফসলি জমি, অসংখ্য বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এদিকে ভাঙনের কারণে বসতঘর, ভিটেমাটি, ফসলি জমিসহ সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। মানচিত্রে থাকলেও নদী গ্রাস করে ফেলায় উল্লিখিত গ্রামগুলো বাস্তবে আর নেই।
এই নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বারবার মানববন্ধনও করেছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
কিন্তু স্থায়ী ভাবে কোন ব্যাবস্থা তো করা হয়নি বরং এপাড় ভেঙ্গে ওপারে চর জাগলে তা দখল করে ভোগ করার উৎসব চলছিল।
এমতাবস্থায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দাবি বানারীপাড়ার সর্বস্তরের জনসাধারণের।
Leave a Reply