সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ঘিরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েও পুলিশের কাছে ন্যায়বিচার পাননি এক ভুক্তভোগী পরিবার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী রাজন ও তার সহযোগী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মইনুল ইসলাম মঈন এক অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের মূল ফটকে এসে ওই পরিবারের এক সদস্যকে ডাকতে থাকেন।
নিরাপত্তারক্ষী তাদের উদ্দেশ্য জানতে চাইলে, তারা তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন এবং জোরপূর্বক ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন। হঠাৎ এই উত্তেজনার শব্দ শুনে ভুক্তভোগী ব্যক্তি দরজা খুলে বের হলে, হামলাকারীরা জোরপূর্বক তাদের বাসায় ঢুকে পড়েন।
সেখানে ঢুকে তারা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। প্রতিবাদ করায় তারা ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে, টিভি ভেঙে ফেলে।হামলাকারীরা অভিযোগ করেন, তাদের নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য ভুক্তভোগী দায়ী এবং এজন্য তাকে মূল্য দিতে হবে এবং ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর ভুক্তভোগী তার স্বামীকে ও নির্বাচিত স্থানীয় কাউন্সিলর মুহাম্মদ আব্দুর রকিব তুহিনকে নিয়ে থানায় যান। কিন্তু থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা অভিযোগ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, বিরোধী দলের লোকদের জিডি নেওয়া সম্ভব নয়। বরং ভুক্তভোগীদের সরকারী দলের সাথে আপস করাই উত্তম হবে বলে তিনি পরামর্শ দেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
Leave a Reply