চলমান বিধিনিষেধে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ গণপরিবহন চলাচল বন্ধ আছে। বন্ধ আছে শপিং মলও। নতুন করে পাঁচ দিন বিধিনিষেধ বাড়ানোর ঘোষণার পর আজ রাজধানীতে চলাচল ও কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে আগের মতোই ঢিলেঢালা দেখা গেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও পাঁচ দিন বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভা শেষে এ তথ্য জানান বৈঠকের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, দোকানপাট খোলা হলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের টিকা নিয়ে খুলতে হবে। নিজ নিজ ওয়ার্ড থেকে সবাইকে টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ ছিল ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। এখন সেই বিধিনিষেধের সময় ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হলো। ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট, অফিস খোলা থাকবে এবং যানবাহন চলবে।
চলমান বিধিনিষেধে গত ১৩ দিনের তুলনায় আজ বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন মূল সড়কে যানবাহন ও মানুষের যাতায়াত উল্লেখযোগ্যসংখ্যক দেখা গেছে। রাজধানীর সড়কগুলোয় ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ ছিল। পাড়া-মহল্লার অলিগলিতেও মানুষের আনাগোনা দেখা গেছে।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সকালে অফিসগামী ব্যক্তিদের কর্মস্থলে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান। তাঁর কর্মস্থল নতুন বাজার এলাকায়। তিনি বলেন, রিকশায় অফিসে যেতে বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। প্রতিদিন যাতায়াতে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হয়। অথচ সাধারণ সময়ে ৫০ টাকা বাস ভাড়া দিয়ে যেতাম।
সকালে মগবাজার থেকে পুরান ঢাকার জজ কোর্টে রিকশায় করে যান নেয়ামুল করিম। তিনি বলেন, রাস্তাঘাটে অনেক মানুষ চলাচল করছে। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। যে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে দেখা যাচ্ছে না। তাহলে এই বিধিনিষেধ দেওয়ার মানে কী?
রাজধানীর খিলগাঁও, বিশ্বরোড, মগবাজার, পান্থপথ, ধানমন্ডি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার মোড়ে তল্লাশিচৌকিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি আছে। তবে তৎপরতা নেই কোনো। পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না।
রাজধানীর বছিলা ব্রিজের মুখে আজ বেলা পৌনে একটার দিকে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, প্রতি মিনিটে এ সড়ক দিয়ে ১৫টি ব্যক্তিগত গাড়ি, ১৪টি মোটরসাইকেল, ১১টি পিকআপ, ৯টি রিকশা, ৬টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা তল্লাশিচৌকি পার হচ্ছে। তবে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না।
জানতে চাইলে এখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট তাওহিদ উল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৬ জনকে ৭ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিধিনিষেধ ও নির্দেশনা মানানোর চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply