ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চলমান লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পাইকারী কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছে। বিগত বছরগুলোতে কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা উপজেলা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাঁঠাল সংগ্রহ করে বাসের ছাদ ও লকারে করে কাঁঠাল দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে বেশ লাভবান হতেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে এ বছর কাঁঠালের ভরা মৌসুমে দুরপালার বাস বন্ধ থাকায় কাঁঠাল কিনে তারা লোকসানের মুখে পড়েছেন। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের কিছু চরাঞ্চল বাদে সব জায়গায়ই কাঁঠালের ভালো ফলন হয়।
এই উপজেলার কাঁঠাল খেতে অত্যান্ত সুমিষ্ট ও সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর কদর রয়েছে। প্রতি বছর বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় কাঁঠাল নিয়ে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। এতে করে বেশ লাভবান হন পাইকারী ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এ বছর কাঁঠালের ভরা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকেই মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনের আওতায় আসে সারাদেশ। ফলে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা কাঁঠাল উপজেলার বাইরে পাঠাতে পারেননি। অপর দিকে স্থানীয় বাজারে কাঁঠালের সর্বরাহ পর্যাপ্ত থাকায় এর ন্যায্য দাম না পেয়ে লোকসানের মুখে পড়েছে বাগান কেনা পাইকারী ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে,বর্তমান বাজারে একটি বড় সাইজের কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ছোট সাইজের একটি কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। অথচ অন্যান্য বছর এ সময়ে একটি বড় কাঁঠাল ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হতো।
আমজাদ হোসেন নামে এক পাইকারী ব্যবসায়ী জানান, ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে ৭ জন কৃষকের বাগান কিনেছি।কাঁঠাল পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাইরে পাঠাতে পারতেছিনা। স্থানীয়ভাবে চাহিদা না থাকায় এবং দাম কম হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।
আব্দুস ছামাদ নামের এক কাঁঠাল ব্যবসায়ী বলেন, প্রতি বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁঠাল কিনে তা বিক্রির জন্য ঢাকার কাওরান বাজারে প্রেরণ করি। কিন্তু চলমান লকডাউনে ঢাকার ব্যবসায়ীরা কাঁঠাল কিনতে না চাওয়ায় ক্রয়কৃত কাঁঠাল নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছি। এতে লাভ তো দ‚রে থাক আসল টাকাও ওঠবে না।
Leave a Reply