ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নে নদীটির অবস্থান।
ভৌগলিক দিক দিয়ে, ইউনিয়নের পশ্চিমাংশে বিখ্যাত জলবুরুঙ্গা নদী ভালুকাপুর হইতে দৌলতাবাদে প্রবাহিত হয়ে ইশ্বরগঞ্জ থানার কাচা মাটিয়া নদীতে মিলিত হয়েছে। জলবুরুঙ্গা নদী এতদ অঞ্চলে সুস্বাদু মাছের জন্য বিখ্যাত।কিন্তু জলবুরুঙ্গা নামেই শুধু পরিচিত থাকবে ভবিষ্যতে। কচুরিপানা তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
কেননা ব্রীজস্থাপন করতে গিয়ে ব্রীজ হয়েছে নদীর মরণফাঁদ। জলবুরুঙ্গায় জল থাকবার কথা থাকলেও আছে শুধু কচুরিপানা। নদীর অকালে মৃত্যু কোন ভাবেই মানা যায়না। এলাকাবাসীর কথা হলো ব্রীজ চাইনা আমরা নদী চাই।
ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার হয় এ নদীটি – এ নদী নিয়ে কথার বলার শেষ নাই। রয়েছে নানান ধরনের গল্প।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৪ মার্চ জলবুরুঙ্গা নদীর উপর জনগণের বহুল প্রত্যাশিত সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি। ৪ কোটি ৭০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৮২ টাকায় সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। সি.আই.বি প্রকল্পের আওতায় এলজিইডির বাস্তবায়নে ব্রীজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মুমিনুল হক স্বর্ণা ব্রিক্স (জেবি)। জলবুরুঙ্গা নদীর উপর সেতু নির্মাণের ফলে এ উপজেলার সহনাটি, অচিন্তপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের দড়ি টানা নৌকা দিয়ে পারাপারের দীর্ঘ বছরের দুর্ভোগের অবসান হতে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আবু সালেহ মো: আব্দুল ওয়াহেদ জানান, জলবুরুঙ্গা সেতুর প্রায় ৯০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এতে বাকি রয়েছে ব্রীজের দু’পাশে ১শ মিটার সংযোগ সড়ক, ব্রীজের উপর রেলিং নির্মাণ ও রঙের কাজ।
স্থানীয়রা বলেন, কয়েকটি এলাকার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হলেও নদীটির কথা ভাবেনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। তাই যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি নদীর প্রাণ,এলাকার ঐতিহ্যও ধরে রাখাও জরুরী।
দৃশ্যমান সমস্যাটি দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করার জন্য বিনতি অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
Leave a Reply