ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মহান স্বাধীনতা দিবসে পতাকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ সুলতান জনির ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গৌরীপুর পৌর শহরে নুরুল আমিন খান উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের দ্রুত গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক জনিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় জনিকে ঢাকায় পাঠানো হয়। আহত জনি পৌরসভার পশ্চিম ভালুকা এলাকার আবদুস সাত্তারের ছেলে।
সূত্র জানায়, হামলাকারীরা রামদা দিয়ে কুপিয়ে, লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জনিকে মারাত্মক জখম এবং তার ডান পায়ের হাঁটু ভেঙে তিন টুকরা করে দিয়েছে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগ ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তিনি এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে আসছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, সকালে জনির নেতৃত্বে তার সমর্থকরা পতাকা র্যালির উদ্দেশে স্থানীয় নুরুল আমিন খান উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জমায়েত হন। শহরে র্যালি বের হওয়ার প্রাক্কালে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মঞ্জুরুল ইসলামের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা জনি ও তার সমর্থকদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। অভিযুক্ত মঞ্জুরুল ইসলামের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
জনির পরিবার সাংবাদিকদের জানান, উপজেলা পরিষদের সম্ভাব্য ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে এলাকায় গণসংযোগ করে আসছিল জনি। ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে স্থানীয় লোকজনের কাছে যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতার পাশাপাশি জনির পক্ষে জনমত সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে প্রতিপক্ষের লোকজন জনির জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। জনির ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে বলেও দাবি তার পরিবারের।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান আবদুল হালিম সিদ্দিকী জানান, এ হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply