ভালুকা উপজেলার উথুরা টু ভরাডোবা সিএনজি ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে শনিবার এবং রবিবার দুদিন যাবৎ চালকদের ধর্মঘট চলছে।এ দাবি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতেই থাকবে বলে জানান চালকরা।
জানা যায়,ভরাডোবা টু উথুরার পূর্বের সিএনজি ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা করে। কিন্তু গত এক মাস ধরে ৪০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের বুঝিয়ে আপোষের মাধ্যমে বাড়তি১০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি চালকদের। উল্লেখ্য, সিএনজি চালিত গাড়ির যন্ত্রপাতির মূল্য বৃদ্ধি, দফায় দফায় গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি,সকল প্রকার দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি প্রভৃতি কারণে ৩০ টাকার জায়গায়৪০ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে জানান চালকরা।
ধর্মঘট কালীন সময়ে চালকগন বলেন, আগে সারাদিনে ৮/৯ টা ট্রিপ দেওয়া যেত, বর্তমানে গাড়ির সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে সারাদিন ৪/৫ টার বেশি ট্রিপ দেওয়া যায়না।উথুরা টু ভরাডোবা প্রতি ট্রিপে ভাড়া আসে ১৫০ টাকা। সারাদিন চার পাঁচ ট্রিপ চালালে ৬০০/৭০০ টাকা আসে তার মধ্যে ২০০ টাকা গ্যাস খরচসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক খরচ মিলিয়ে ৪/৫ শ টাকা এমনিতেই চলে যায়। দিনশেষে ১/২ শত টাকা নিয়ে বাড়ি যেতে হয়।
অন্যদিকে ভাড়ায় চালিত সিএনজি চালকের প্রতিদিন জমার টাকা তুলতেই হিমসিম খেতে হয়।ফলে পরিবার ও সন্তানের জন্য দুবেলা দুমুঠো ভাত খাওয়ার টাকা থাকে না।এর মধ্যে কয়েকজন বলেন, আমরা কি মানুষ না। আমাদের কি বউ বাচ্চা নেই। সারাদিন কষ্ট করে যদি পরিবারের খরচ চালাতে না পারি এতে অনেক কষ্ট হয়। সেজন্যই সব চালকগন যাত্রীদের বুঝিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে বাড়তি১০ টাকা করে নিচ্ছে।
এতে যাত্রীদের কোন প্রকার হয়রানি বা জোর করা হচ্ছে না বলে জানান তারা। যাত্রীরাও তাদের দাবি যৌক্তিক বলে মনে করেন। এজন্য তারা বাড়তি ১০ টাকা দিয়েই চলাচল করছেন। তাছাড়া ও ভরাডোবা বা উথুরা বাদে সাগরদিঘি টু ভরাডোবা ৫০ টাকার জায়গায় ৭০ টাকা,ভরাডোবা থেকে গারো বাজার ৭০ টাকার জায়গায় ১০০ টাকা,ভরাডোবা টু মধুপুর ১২০ টাকা ১৫০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে চালকদের আর্থিক দূরাবস্থার কথা উল্লেখ করে উথুরা অটো ট্যাম্পু, সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক সুমন বলেন, বর্তমানে সবকিছুর দাম বেড়েছে।যন্ত্রাংশের দাম পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি সেজন্য ১০ টাকা বাড়তি নেওয়াটা অযৌক্তিক নয়। চালকরাও তো মানুষ তাদের কথা আমাদের সবা
Leave a Reply