লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে পেটের ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে খালেদা বেগম (৩৫) নামে নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে মহিষখোচা এলাকার গোবর্ধন এলাকার নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিভিন্ন রোগে চিকিৎসাধীন থাকায় ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে তিনি এই পথ বেঁচে নিয়েছেন।
খালেদা বেগম ওই এলাকার মফিজুল ইসলামের স্ত্রী ও চার সন্তানের জননী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জননী খালেদা বেগম। তার স্বামী স্থানীয় আবলার বাজারে চায়ের দোকান করে সংসার চালান। সাংসারিক জীবনে তাদের তেমন কোন অশান্তি ও ঝগড়াঝাটি ছিল না। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার ফজরের পরেই তার স্বামী দোকান খুলতে চলে যান। পরে ছেলে-মেয়েরাও সকালের নাস্তা করতে বাবার দোকানে যায়। এরই মধ্যে নিজ ঘরে রশি ঝুলিয়ে ফলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন খালেদা। নাস্তা খেয়ে তার দুই মেয়ে এসে ঝুলে থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাবাকে খবর দেয়। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে দুপুরের দিকে পুলিশ এসে মরদের উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
এলাকাবাসী জানান, সকালে তিনি বাড়ির কাজ করার জন্য আশেপাশে একজন মহিলাকে খুজতে বেরিয়েছিলেন। পরে তিনি বাড়িতে এসে কাউকে না জানিয়ে ঘরের মুল দরজা লাগিয়ে গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
মহিষখোচা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুর আলম বলেন, তাদের পারিবারিক ভাবে তেমন ঝঝগড়াঝাঁটি ছিল না। পেটের অপারেশন করায় দীর্ঘদিন থেকে তিনি অসুস্থ ছিলেন। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ব্যাথা সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছেন।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply