ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য খাতে। মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিভাগের ৬ জেলায় ২১৭ কোটি ২৯ লাখ টাকার মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ঝড়ে আহত হয়েছেন ৩১ জন জেলে। মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস এবং অতিবর্ষণে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। ফলে তিন থেকে চার ফুট পানিতে তলিয়ে যায় শত শত গ্রাম। এতে মাছের ঘের, পুকুর এবং খামার তলিয়ে গিয়ে মাছ ভেসে গেছে। বরিশাল মৎস্য ভবনের তথ্য অনুযায়ী বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা এবং ঝালকাঠি জেলার ৩৩৯টি ইউনিয়নের ৮৬ হাজার ৯৭৬টি পুকুর ও দিঘীর মৎস্য সম্পদ ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ৬ হাজার ৯০৬টি ঘের এবং ১২০টি খামারের মৎস্য সম্পদ ভেসে গেছে। এর মধ্যে ৭০ হাজার ৯২ টন বিভিন্ন জাতের মাছ, ১৫৯ টন চিংড়ি, ৬৯৬ লাখ পিস পোনা মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এসব মৎস্য খাতে ২১৭ কোটি ২৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির মাছে ১৫৪ কোটি ৪২ লাখ, চিংড়ি ৮ কোটি ৮ লাখ, ২ কোটি ৮ লাখ এছাড়া পোনা মাছে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ। এর বাইরে জেলেদের মাছ ধরা নৌকা এবং ট্রলারসহ এক হাজার ১৯টি জলযানের ক্ষতি হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এছাড়া ৮৯৪টি মাছ ধরা জালের ক্ষতি হয়েছে। যার মূল্য ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে মৎস্য খাতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা
Leave a Reply