মঙ্গলবার (৪ জুন) ফেনী শহরের শহিদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ওয়ান স্টোপস মেটারনিটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। শিশু নিশান নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার দক্ষিণ মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ শহীদ উল্যাহর ছেলে। সে উপজেলার মোহাম্মদপুর পুর আনিছ হাফেজিয়া মাদরাসার হিফজ শাখার শিক্ষার্থী ছিল।
নিশানের বাবা মোহাম্মদ শহীদ উল্যাহ বলেন, সোমবার বিকেলে ৪টার দিকে আমার ছেলের গলার টনসিল অপারেশন করাতে চিকিৎসক কিশোর কুমার হাওলাদারের পরামর্শে ওয়ান স্টোপস ক্লিনিকে ভর্তি করি। পরে রাত ১১টায় অপারেশন শেষ করে চিকিৎসক ক্লিনিক ত্যাগ করেন। পরবর্তী সময়ে অ্যানেস্থেসিয়ার চিকিৎসক নাজমুল হক ভূঁইয়া আমাকে বলেন, আপনার ছেলের অপারেশন সাকসেসফুল। পরে অপারেশন থিয়েটারের দিকে ক্লিনিক স্টাফরা ঘন ঘন প্রবেশ করায় আমার সন্দেহ হয়। মূলত আমার ছেলেকে অ্যানেস্থেসিয়ার ইনজেকশন দেওয়ার পর সে আর চোখ খোলেনি। ভোর ৪টার দিকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আমাকে ডেকে বলে রোগীর অবস্থা ভালো না, দ্রুত কুমিল্লা বা চট্টগ্রাম নিয়ে যেতে হবে।
ওয়ান স্টোপস মেটারনিটি ক্লিনিকের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নাজমুল হক ভূঁইয়া বলেন, অপারেশনে নিশানের মৃত্যু হয়নি। অপারেশন করানোর সময় রোগীর হার্ট ফেল করে মৃত্যু হয়। কুমিল্লা মর্ডাণ হাসপাতালের চিকিৎসকের দেওয়া মৃত্যুর সনদপত্রে ধারণা করা হয়েছে, হার্ট ফেইল করে শিশুর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসবে।
ডা. কিশোর কুমার হালদার বলেন, অপারেশন সফলভাবে সম্পূর্ণ করেছিলাম। শারীরিক দুর্বলতার কারণে অ্যানেস্থেসিয়ার পর রোগীর হার্টবিট ও অক্সিজেন লেভেল কমে যায়। যার কারণে আর জ্ঞান ফেরেনি। রোগীর অবস্থা ভালো না হওয়ায় দ্রুত তাকে কুমিল্লা বা চট্টগ্রাম নিয়ে যেতে পরামর্শ দেই।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে
Leave a Reply