অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তারা বৈঠকে বসেন।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের আগমন ঘিরে আগে থেকেই পুরো এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সীমিত করা হয় যান চলাচল। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশের প্রতিটি সড়কেই বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এর আগে, এদিন বেলা ১১টার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এফওসি শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব পদ্মায় প্রবেশ করলে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন। পরে একান্তে কিছু সময় আলাপ-আলোচনা করেন জসীম-মিশ্রি। এরপর এফওসিতে বসে উভয় পক্ষ।
সূত্র বলছে, বৈঠকে উভয় পক্ষ রাজনৈতিক দূরত্ব কমানোর বিষয়ে জোর দেবে। ঢাকার পক্ষ থেকে ভারতে বসে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সক্রিয়তা বন্ধ, ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার ও ভিসার জট খোলার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে, দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তোলার পাশাপাশি সংখ্যালঘু স্বার্থ এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আর্জি জানাতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনার সুযোগ থাকবে। বৈঠকে বাণিজ্য, কানেক্টিভিটি, সীমান্ত হত্যা, পানি বণ্টন ছাড়াও অনেক বিষয় থাকবে।
সচিব পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ শেষে মিশ্রি যোগ দেবেন মধ্যাহ্নভোজে। এরপর তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সংক্ষিপ্ত সফরে আজ সকালে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের পর দিল্লির উচ্চ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা প্রথম ঢাকায় এলেন। আর পররাষ্ট্রসচিব হওয়ার পর মিশ্রির প্রথম ঢাকা সফরও এটি।
আজ রাতেই বিক্রম মিশ্রির দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
Leave a Reply