1. iamparves@gmail.com : admin :
  2. hdtariful@gmail.com : Tariful Romun : Tariful Romun
  3. shohagkhan2806@gmail.com : Najmul Hasan : Najmul Hasan
  4. janathatv19@gmail.com : Shohag Khan : Shohag Khan
  5. ranaria666666@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৪:৩০ অপরাহ্ন

গারো পাহাড়ে চা চাষের নতুন ভূবন

অনলাইন ডেক্স
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০
ছবি:সংগৃহীত

চা চাষের নতুন ভূবন হচ্ছে শেরপুরের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়। প্রায় একবছর যাবত চলছে চা চাষ। চায়ের লতাপাতা আর গাছের চেহারা তরতাজা দেখে খুশি কৃষকরা। চা চাষে এগিয়ে এসেছেন এক শিল্প উদ্যোক্তা। এতে বদলে যাচ্ছে পাহাড়ের চিত্র। সৌন্দর্য্য বাড়ছে পর্যটনকেন্দ্রিক গারো পাহাড়ের। সোমবার গারো পাহাড়ের চাচাষি, পরিদর্শনকারী ও উদ্যোক্তার লোকজনের সাথে কথা বলে ওঠে আসে এমন তথ্য। 

শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্ত এলাকাজুড়ে গারো পাহাড়। এখানে অসংখ্য পাহাড়ি টিলা। এর নিচে রয়েছে সমতল ভূমি। এসব সমতল ভূমিতে কৃষকরা ধান চাষ করতো। প্রতিবছর ধান না পাকতেই চলে বন্য হাতির থাবা। হাতির পেটে যায় কৃষকের অর্জিত ফসল। এতে চরম বিপাকে পড়েন কৃষকরা। এমন এক অদ্ভুত চক্রে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকেন তারা। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে স্থানীয় কৃষকরা শুরু করেছেন চা চাষ। এটি হাতির খাবারের মধ্যে পড়ে না। 

রাঙাজান এলাকার কৃষক লাল চান মিয়া জানান, হাতির কারণে তার প্রায় ৫০ শতাংশ জমি পরিত্যক্ত ছিল। অভাব-অনটনে দিন কাটত তার। গত বছর আমজাদ হোসেন ফনিক্স নামে এক উদ্যোক্তার সাথে যৌথভাবে চাষ করছেন চা বাগান। এখন গাছের, ডগা আর লতাপাতার তরতাজা চেহারা দেখে তিনি খুশি। তিনি বলেন, বাগানে চা আওন লাগলে আমগোর অভাব থাগবো না। এডা দিয়ে সারা বছর চলতে পারমু। পোলাপনগরে পড়ালেহা করাতে পারমু। এ সময় লান চান মিয়ার চা বাগানে কাজ করা কয়েকজন শ্রমিক জানান, তারা বছরের প্রায় বেশির ভাগ সময় বেকার থাকত। চা বাগান করায় এখন তাদের কাজের নতুন সুযোগ হয়েছে। তাদের বেকার থাকতে হয়না। লাল চানের মতো ওই গ্রামের ফকির আলী, সোলেমান, জুলহাস ও গোলজার আলীসহ অনেকে বলেন, আমরাও চা বাগান করমু। হাতির ক্ষতি করতে পারবোনা। এডার লাভও বেশি অইবো।

ওই বাগান পরিদর্শনকারী ও চা শিল্প উদ্যোক্তা আমজাদ হোসেনের গারো হিলস টি কম্পানির ম্যানেজার সাব্বির মো. সিদ্দিকী সনি জানান, লাল চান মিয়ার ৫০ শতাংশ জমিতে চা বাগান করতে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় ২ শ কেজি চা উৎপাদন হবে। বছরে প্রায় ৪ হতে ৫ লাখ টাকা আয় হতে পারে। তিনি আরো বলেন, সিলেটের চা বাগানের মাটির সাথে এখানের মাটির অনেকটা মিল রয়েছে। এজন্য চা বাগান গড়ে তোলার উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় স্থান এটি। গারো পাহাড়ের বিস্তর এলাকা চা বাগান হলে অর্থনৈতিকভাবে বিপ্লব ঘটবে। বদলে যাবে এলাকার মানুষের জীবন মান।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:২৮
  • ১২:২৮
  • ৫:০২
  • ৭:০৫
  • ৮:২৭
  • ৫:৪৮