জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে পুলিশ সদর দপ্তরের গোপনীয় শাখার পুলিশ পরিদর্শক মিজান সেজে পুলিশের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মো. আল আমিন (৪২) নামের একজনসহ প্রতারকচক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার নওদা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আল আমিনের বাড়ি দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার ঈদগাহ বস্তি এলাকায়। তার বাবার নাম আপেল মাহমুদ। দীর্ঘদিন থেকে আল আমিন পুলিশ সদর দপ্তরের গোপনীয় শাখার পরিদর্শক পরিচয়ে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে সদর দপ্তরে অভিযোগ রয়েছে এমন বিভিন্ন অভিযোগ এনে তাদের চাকরিচ্যূত ও শাস্তির ভয় দেখানো হতো।
বিষযটি পুলিশ সদর দপ্তরের নজরে আসলে গোপনে তথ্য প্রযুক্তির সহয়তায় বুধবার রাতে তাকে পাঁচবিবি উপজেলার নওদা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন স্বীকার করেন, সে পরিদর্শক মিজান পরিচয়ে পুলিশ সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করত। পুলিশের কাছে টাকা আদায়ের কৌশলও সে দেখিয়ে দেয়। পুলিশ আল আমিনের দাদা শ্বশুর নওদা গ্রামের মো. ইসাহাক ওরফে জাহাঙ্গীর (৬০) ও তার স্ত্রী আমেনা বেগমকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেব জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ সারা দেশে তাদের অন্য প্রতারক চক্রদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। মিজান নামে কোনো পরিদর্শক গোপনীয় শাখায় নেই। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply