চন্দনাইশ পৌরসভা নির্বাচনে পুলিশের ওপর হামলা করার নির্দেশনা সংক্রান্ত একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।
ওই অডিও রেকর্ডে জসিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহম্মদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের সময় পুলিশের ওপর হামলার নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানান। জসিম উদ্দিন সাবেক ছাত্রদল কর্মী ও বর্তমানে চন্দনাইশ এলডিপি নেতা বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চন্দনাইশ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, এলডিপিসহ বিভিন্ন দল থেকে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ওই অডিও রেকর্ডে কর্নেল অলি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘চন্দনাইশ আঁই নির্বাচনের ৩/৪ দিন আগে যাইয়ুমদে।’ অর্থাৎ চন্দনাইশ আমি নির্বাচনের ৩/৪ দিন আগে যাবো যে।
প্রতি উত্তরে জসীম বলেন, ‘জরুরি থন পরিবো, জরুরি, জরুরি, জরুরি। আঁই এডে বেয়াগ্গুনোরে কই দিইয়ি পুলিশ মারিবাল্লাই। পুলিশে যদি ডিস্টার্ব গরে পুলিশ মারিবার লাই হইয়িদি।’ অর্থাৎ আপনাকে জরুরি থাকতে হবে। আমি এখানে সবাইকে বলে দিয়েছি পুলিশে মারার জন্য। পুলিশ যদি ডিস্টার্ব করে তাই পুলিশকে মারার জন্য বলে দিয়েছি।
কর্নেল অলি বলেন, ‘আচ্ছা ভালা।’
এর পর আবারও জসিম বলেন, ‘ — পুলিশ মাইল্লে তই ঠিক অইবো।’ অর্থাৎ পুলিশ মারলে তবেই ঠিক হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এই ক্লিপটি সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এদিকে ছড়িয়ে পড়া অডিও রেকর্ডটির বিষয়ে জানার জন্য কর্নেল অলি আহমদকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তা নিশ্চিত করা যায়নি।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন এ প্রসঙ্গে যুগান্তরকে বলেন, ক্লিপটিতে চন্দনাইশে পৌরসভা নির্বাচনে পুলিশের ওপর হামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে ধারণা করছি। কোন প্রেক্ষিতে কেন পুলিশের ওপর হামলা করার কথা বলা হলো, দুইজনের মধ্যে বিস্তারিত কী কথোপকথন হয়েছে তা তদন্তের জন্য আমরা ক্লিপটি সংগ্রহ করেছি। চন্দনাইশ থানায় একটি জিডি করা হবে। এর পর তদন্ত করে অভিযুক্ত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply