ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
ইউক্রেনের অলভিয়া সমুদ্রবন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এম ভি বাংলার সমৃদ্ধিতে হামলা হয়েছে। এতে নিহত হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান আরিফ (২৯)। হামলার পর এখনো অক্ষত আছেন ওই জাহাজের আরও ২৮ নাবিক। ২৮ জনের মধ্যে একজন মো. রুকনুজ্জামান রাজীব (২৬)।
মো. রুকনুজ্জামান রাজীব ময়মনসিংহ নগরীর কাঁচিঝুলি এলাকার জোবেদ আলী রোডের মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলি ও কোহিনুর বেগম দম্পত্তির ছেলে। তিনি গত ৪ মাস আগে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটিতে থার্ড অফিসার হিসেবে যোগ দেন (সিডিসি নং C/O/9637 পাসপোর্ট নম্বর A 01711643))। তার দুই বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর রুকনুজ্জামান রাজিবের মা কোহিনুর বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমার ছেলে ৪ মাস আগে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটিতে থার্ড অফিসার হিসেবে যোগ দিয়ে বাড়ি ছাড়েন। সরকারের কাছে একটাই আবেদন যে কোন কিছুর মু্ল্যে আমার ছেলেকে আমার কুলে ফিরিয়ে দেন।
রুকনুজ্জামান রাজিবের স্ত্রী সিলভিয়া জাহান জাগো নিউজকে বলেন, তার সাথে শুধু এসএমএসে কথা হয়। সেখান থেকে তিনি ভিডিও পাঠিয়েছে। সে দেশে ফেরার জন্য কান্নাকাটি করছেন। একমাত্র সন্তানের জন্য হলেও আমার স্বামীকে ফেরত চাই।
রুকনুজ্জামান রাজিবের বড় ভাই কামরুজ্জমান রাসেল জাগো নিউজকে বলেন, রাজীবসহ অন্যান্য নাবিকরা এখন কঠিন সময় অতিবাহিত করছে। তাদের জাহাতে একমাসের মতো খাদ্যের যোগান থাকলেও জাহাজের বিদ্যুৎ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ফ্রিজসহ সব কিছুই অকেজোঁ হয়ে গেছে। তারা জাহাজ থেকে নেমে তীরে উঠতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে শিপিং কর্পোরেশন আটক নাবিকদের উদ্ধারে যথেষ্ট চেষ্টা করছে এমন দাবি করলেও মূলত নাবিকদের সাথে নূন্যতম যোগাযোগ করছে না সংস্থাটির কেউ। এমন দাবি করছেন আটকে থাকা নাবিকরা। এমন একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মো. রুকনুজ্জামান রাজীব।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, অন্ধকার একটি জায়গা থেকে তারা বলছেন, আমরা এখন নিরাপদে নই। যেকোন সময় তাদের উপর আবারও আক্রমণ হতে পারে। ময়মনসিংহের এই যুবক রুকনুজ্জামান রাজিব এক ভিডিও বার্তায় দেশে ফিরে আসার জন্য তাদের তীব্র আকুতির কথা জানিয়েছেন। তার আকুতি একটাই, দ্রুত দেশে ফিরতে চাই।
Leave a Reply