ফিলিস্তিনিনের ভূখণ্ড গাজা সীমান্তে হামাসের সঙ্গে ইসরাইলি বাহিনীর সংঘর্ষ পুরো দমে চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনী হামাস ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন স্থাপনায় শতাধিকের বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে গাজা প্রায় বিদ্যুতবিহীন হয়ে পড়েছে। গাজায় বেশিরভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ইসরাইল ইলেকট্রিক করপোরেশন।
তবে সংস্থাটির কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারীরা বিদ্যুত সংযোগ মেরামত না করার ঘোষণা দিয়েছে। তারা বলছে, হামাসের কাছে থাকা তাদের দুই সেনা সদস্যের লাশ ফেরত দিতে হবে। পাশাপাশি এক বন্দি ইসরাইলিকেও মুক্তি দিতে হবে। তারপরেই বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামত করা হবে।
বৃহস্পতিবার ইসরাইলি সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
২০১৪ সালে হামাসের সঙ্গে সংঘাতে হাদার গোল্ডেন ও ওরোন শাওল নামে দুই সেনা সদস্য নিহত হয়। এ ছাড়া ইথোপিয়ান ইসরাইলি এক বেসামরিক নাগরিক এভেরা মেনগিসতু একই বছর গাজা সীমান্ত অতিক্রম করেন।
বিবিসি বলছে, হিশাস আল-সায়িদ নামে আরেকজন ইসরাইলি নাগরিক গাজায় ভ্রমণে গেলে তাকে বন্দি করে হামাস। তবে তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।
ইসরাইল ইলেকট্রিক করপোরেশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আইইসি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, এর কিছু আইনের বিধান রয়েছে এবং আমরা বিশ্বাস কারি সংঘাতের বাইরে বিদ্যুৎ একটি জরুরি পণ্য।
কোম্পানি পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়, ছেলেদের (নিহতদের লাশ) বাড়ি ফিরিয়ে আনা হবে।
গাজায় চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৪ শিশু এবং ৩৮ নারী আছেন।
এদিকে ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তনিও গুতেরেস। আন্তর্জাতিক সংগঠন সেভ দ্য চিলড্রেনের মতে, গাজার ৫০টি স্কুল ধ্বংস করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে প্রায় ৪২ হাজার শিক্ষার্থীর স্কুলজীবন হুমকির মুখে পড়েছে।
জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ওআইসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিশ্ব নেতাদের যুদ্ধবিরতির আহ্বান কানে তুলছে না ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
Leave a Reply